সীমান্ত প্রাচীর ইস্যুতে সৃষ্ট বাজেট অচলাবস্থা দূর করতে ব্যর্থ হওয়ায় মার্কিন সরকারের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই ছাড়া কোনো চুক্তি ও অনুমতিপত্র কার্যকর হয় না। ফলে নতুন বাজেট পাস হওয়ার জন্যও তার সই প্রয়োজন।
কিন্তু ট্রাম্প সেই বাজেটে সই করছেন না কারণ সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমানা জুড়ে বিশাল প্রাচীর নির্মাণের জন্য কোনো অর্থবরাদ্দ দেয়া হয়নি। তার দাবি, এই প্রাচীরের জন্য অন্তত ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার সরকারি বরাদ্দ দিতেই হবে।
স্থানীয় সময় শনিবার প্রথম প্রহর (শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা) থেকে নতুন বাজেট চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার শেষ মুহূর্তের বৈঠকেও ট্রাম্প নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক মুলতবি করে চলে আসেন আইনপ্রণেতারা।
নতুন সিদ্ধান্ত ছাড়া স্থানীয় সময় ঠিক রাত ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের এক-চতুর্থাংশ সরকারি সংস্থার বরাদ্দ আটকে যাবে। এর ফলে তখন থেকেই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, পরিবহন, কৃষি, পররাষ্ট্র এবং বিচার বিভাগের কাজ বন্ধ হওয়া শুরু হবে। একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে সব জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
২০১৮ সালে এটি এমন তৃতীয় আংশিক স্থগিতের ঘটনা। এর ফলে লাখো কর্মী কাজ হারাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে বিশাল সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই তিনি জোরগলায় আশ্বাস দিয়ে গেছেন ওই সীমান্তে স্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করবেন এবং এর যাবতীয় অর্থ মেক্সিকো সরকার দেবে।
মেক্সিকান সরকার কখনোই ট্রাম্পের এই দাবি মেনে নেয়নি। তারা চায়ও না এই প্রাচীর উঠুক। এখন ট্রাম্প নিজের সরকারকেই দফায় দফায় চাপ দিয়ে যাচ্ছেন প্রাচীরের অর্থ বরাদ্দ দিতে, যে বরাদ্দ দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা এখনো পাননি বলে বারবার এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতারা।