আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আরো প্রাতিষ্ঠানিক করার চেষ্টা আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায়। আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটি টেস্ট এবং ওয়ানডে লিগের জন্য কার্যকরী সময়সূচীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরপরই টেস্ট লিগ শুরু হতে পারে। এই লিগ চালু হলে সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলার জন্য আর হাপিত্যেশ করতে হবে না বাংলাদেশকে। অন্যদিকে র্যাঙ্কিংয়ের দশম দল জিম্বাবুয়ের বিপদ বাড়বে। তারা লিগ খেলার সুযোগ পাবে না।
জিম্বাবুয়ের মতো আয়ারল্যান্ড এবং আফগাস্তিানও লিগের বাইরে থাকবে। এই তিন দেশ নিজেদের মধ্যে টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে পারবে। শীর্ষ ৯ দলের শিডিউল ফাঁকা থাকলেও তাদের বিপক্ষে তারা খেলতে পারবে।
নতুন প্রস্তাবে শীর্ষ ১৩ দলকে নিয়ে ওয়ানডে লিগের কথাও বলা হয়েছে। দুই বছর ব্যাপী এই লিগ শুরু হবে ২০২০ সাল থেকে।
নতুন টেস্ট লিগ বিশ্বকাপের পর শুরু হলে চলবে পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
প্রস্তাব অনুযায়ী, চার বছরে প্রতিটি দেশ কমপক্ষে ১২টি টেস্ট সিরিজ খেলবে। প্রতিটি সিরিজে কমপক্ষে দুটি করে ম্যাচ থাকবে। ছয়টি হবে দেশে বাকি ছয়টি বিদেশে।
চার বছরে ১২টি টেস্ট সিরিজ খেলা অসম্ভব কিছু নয়। ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ১২টি সিরিজ খেলেছে, ইংল্যান্ড খেলেছে ১৩টি, ভারত ১২টি, সাউথ আফ্রিকা ১২টি, নিউজিল্যান্ড ১৬টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩টি, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা ১৪টি করে, বাংলাদেশ ৯টি, জিম্বাবুয়ে ১০টি।
নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় সমস্যা বিশ্বজুড়ে টি-টুয়েন্টি লিগের প্রসার। ফ্রাঞ্চাইজি লিগের ভিড়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সূচি ঠিক রাখাই দায় হয়ে পড়ে। আইসিসির সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টেস্ট লিগ চালু হলেও বিভিন্ন দেশ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পারবে। সেক্ষেত্রে অ্যাশেজের মতো ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে ওই ম্যাচ থেকে কোনও পয়েন্ট যোগ হবে না।
এই লিগ চালু হলে বাংলাদেশের জন্য যেমন ভালো তেমন খারাপও হতে পারে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে জিম্বাবুয়ের আগে থাকলে সমস্যা নেই। তাতে লিগের অংশ হতে পারবে মুশফিকুর রহিমের দল। কিন্তু জিম্বাবুয়ে টাইগারদের টপকে গেলেই বিপদ। অবনমন হবে বাংলাদেশের।
টেস্ট লিগে না থাকলেও ১৩ দলের ওয়ানডে লিগে সুযোগ পাচ্ছে আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান।