আর মাত্র ১ মাসের অপেক্ষা। টানা তৃতীয় হ্যাট্রিক জয়ের লক্ষ্যে অভিনব কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। গেলো ৪টি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের পাশাপাশি ৮ বিভাগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সাথে ১৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে আট বিভাগের কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে দলের নেতাদের জানান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হ্যাটট্রিক জয়ই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সে কারণে নির্বাচন কেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচন জাতীয় কমিটির সভাপতি দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম ও সদস্য সচিব দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ দুজন নেতা এই কমিটির সদস্য। এ ছাড়াও বিভাগীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য বৈঠকে আটটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয় দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের। যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না তাদের।
আর যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব করা হয় বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের। এমন খসড়া তালিকা করা হয়েছে। একই সাথে ১৫টি বিভিন্ন উপ-কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সম্প্রতি গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের বড় চমক মনোনয়নে দেখা গেছে। নতুন অনেক মুখ এসেছে প্রার্থী তালিকায়। এ তালিকায় আছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তিনি নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়ার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন।
নতুনদের মধ্যে আরও আছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান শেখর। তিনি মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেলও প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছেন। তরুণ এ নেতা নির্বাচন করবেন চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে। কক্সবাজার-৪ আসনে টেকনাফ-উখিয়া নৌকার মাঝি হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীনা আক্তার চৌধুরী। প্রথমবারের মতো শেখ হেলাল উদ্দীনের একমাত্র সন্তান শেখ সারহান নাসের তন্ময় বাগেরহাট ২ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনে আমানুর রহমান খান রানার পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন তার বাবা বাবা আতাউর রহমান খান। মাদারীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। শরিয়তপুর-২ এ এনামুল হক শামীম ও ঢাকা-১৩ আসনে সাদেক খান। এছাড়া সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ কিশোরগঞ্জ-২, ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর জামালপুর-৫, ইকবাল হোসেন অপু শরীয়তপুর-১, অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম টাঙ্গাইল-৮, শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।
এবার বেশ কিছু আসনে নতুন মুখকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বেশ কিছু আসনে হেভিওয়েট নেতাও বাদ পড়েছেন। বাদের খাতায় পড়েছেন পোড় খাওয়া নেতারাও। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরাও মনোনয়ন পাননি। গাজীপুর-৩ আসনেও প্রার্থী বদল হয়েছে। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে এমপি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী রহমত আলী। বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বাদ পড়েছেন টাঙ্গাইলের আলোচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। তার বদলে টাঙ্গাইল-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আতাউর রহমান খান। তিনি রানার বাবা। বাদ পড়েছেন কক্সবাজারের সমালোচিত এমপি আবদুর রহমান বদি। ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী। মনোনয়ন না পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি ঢাকা-১৩ আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এ আসনে এবার নতুন মুখ হিসেবে সাদেক খানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সাদেক খান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী নেতা টানা দুবারের এমপি ঢাকা-১৩ আসনের। নানকের বাদ পড়ার গুঞ্জন বহুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। এখন সেটি সত্যি হল। ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানকের উত্থান। তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বরিশালে জন্মগ্রহণ করা এ নেতা। মোহাম্মদপুর-আদাবর নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন দেয়ার কথা বলে আসছিলেন স্থানীয় নেতারা। এ ছাড়া আরও কয়েকজন বাদ পড়েছেন। আওয়ামী লীগ বলছে- এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়। বিশেষ প্রয়োজনে প্রার্থী বদল হতে পারে। এবারের নির্বাচন দলটির জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে জয়ী হতে গেলে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং কঠিন সংগ্রাম করতে হবে।
আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘যারা মনে করছে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। বিএনপি নির্বাচন করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলেই আমার ধারণা।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের উত্তাপ বেড়ে গেছে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কিছু আগেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হট ফেভারিট ছিল। আর এখন তাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারপরও আওয়ামী লীগ কয়েকটি বিষয়ের সমাধান করলে তারা এই নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে হলে দলটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে হবে। বিশেষ করে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় দলটির সদস্যদের মধ্যে যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও গ্রুপিং আছে সেগুলো তাদের মীমাংসা করতে হবে। এটা করতে পারলে দলটি নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থানে যাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে যে তিনি এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। নির্বাচনের প্রচারণায় তাঁকে কীভাবে উপস্থাপন করা হবে এর ওপরে আওয়ামী লীগের জয় অনেকটাই নির্ভর করছে। আওয়ামী লীগ যদি সঠিকভাবে তার ইমেজকে ব্যবহার করতে পারে তবে নির্বাচনে দলটির জয়ের ভালো সম্ভাবনা তৈরি হবে। প্রতিটি নির্বাচনেই দেখা গেছে আওয়ামী লীগ তার শরিক দলগুলোকে অনেকগুলো আসন ছেড়ে দেয়। কিন্তু সেই ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ শরিক দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে না। যার ফলে শরিক দলগুলোকে দেওয়া অর্ধেকেরও বেশি আসনে তারা জয়ী হতে পারে না। এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। একই সঙ্গে একে অনিশ্চয়তার নির্বাচনও বলা হচ্ছে।
এ কারণে এবারের নির্বাচনে শরিক দলের প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাট্টা হয়ে কাজ করতে হবে। একাজটি অনেক কঠিন। তবে এই কঠিন কাজটি করতে পারলে আওয়ামী লীগের ভালো ফল করার সম্ভাবনা তৈরি হবে। প্রতিবার নির্বাচনে দেখা যায় যে, ভোট হয় মূলত দুইভাবে। একটা হলো, আওয়ামী ভোট অন্যটি আওয়ামী বিরোধী ভোট। ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচনগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- যখনই আওয়ামী বিরোধী ভোট বিভক্ত হয়েছে তখনই আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ফলাফল এসেছে।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচন করেছিল। ফলে আওয়ামী বিরোধী ভোট বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছিল। একইভাবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও কর্নেল অব. অলি আহমেদ বিএনপি থেকে পৃথক হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। ফলে আওয়ামী বিরোধী ভোট বিএনপি’র একার পক্ষে না গিয়ে বিভক্ত হয়ে গেছে। এতে করে ইতিবাচক ফল পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে ভোটের হিসেবে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের ভোট আছে ৩৮ থেকে ৪০ ভাগ।
অন্যদিকে আওয়ামী বিরোধী ভোট আছে ৩০ থেকে ৩২ ভাগ। এই ৩২ ভাগ ভোট বিভক্ত হলেই আওয়ামী লীগের জয়ের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের পর যেমনটি মনে করা হচ্ছিলো যে বিএনপি বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং নির্বাচন প্রশ্নে দলটির মধ্যে দু’টি ভাগ হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি ইতিবাচক বিষয় হলো, বিকল্প ধারা ও যুক্তফ্রন্টের মতো দলগুলো আলাদা অবস্থান নিয়েছে।
কিন্তু তারা যদি মহাজোটে আসে তবে তারা আর আওয়ামী বিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে না। অন্যদিকে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি’র একটি মনোমালিন্য দৃশ্যমান হচ্ছে। জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে যে, তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে এবং ৬২টি আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াতের এই আবদার বিএনপি কোনভাবেই মানবে না। সেক্ষেত্রে জামায়াত যদি আলাদাভাবে অবস্থান গ্রহণ করে সেটা আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক হবে।
পাশাপাশি ইসলামী দলগুলো যদি বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কোনো দলের সঙ্গে না গিয়ে আলাদাভাবে নির্বাচন করে সেটাও আওয়ামী লীগের জন্যও ইতিবাচক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের এক দশকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। সেজন্য আওয়ামী লীগ একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সেটা হলো, তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করা।
এবারের নির্বাচনে ৩ কোটি ২০ লক্ষ তরুণ ভোটার রয়েছে। তারাই এবারের নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এই তরুণ ভোটাররা উন্নয়ন কিংবা রাজনৈতিক দল দেখে নয়, বরং তাদের জন্য কী করা হয়েছে সেটা দেখে তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে। দেখা যায় যে, তরুণ ভোটারদের সংখ্যা বেশি হলেও তারা ভোটদানে বিমুখ হয়ে যায়। তাদেরকে যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিতে উৎসাহী করা যায় তবে তা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
এজন্য তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি দাওয়া আছে, যেমন: চাকরির বয়সসীমা ৩২ বছর থেকে ৩৫ বছরে উন্নীত করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কোটা সংস্কার ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো তরুণদের কাছে তুলে ধরে তরুণদের আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে উৎসাহী করতে পারলে দলটির হ্যাট্রিক জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)