বিএনপি সংশ্লিষ্ট জোটগুলোর প্রার্থী তালিকা শনিবার যেকোনো সময় প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে বিএনপির ২০৬ আসনের প্রার্থী তালিকা। এর মধ্যে এখনো কয়েকজন আপীল শুনানিতে রয়েছেন। ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের তালিকাসহ প্রকাশ করার অপেক্ষায় এখন।
তবে ২০ দলীয় জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা অনেকটা শেষ হলেও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতা কিছুটা বাকি এখনো। সমঝোতার জন্য শেষ মুহূর্তে দফায় দফায় বৈঠক করছে বিএনপি। চলছে দর কষাকষি।
জোটের আসন বিষয়ে সমাধানের জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকেলে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেই ড. কামাল হোসেনের এর সঙ্গে সাক্ষাত করতে তার বাসায় যান।
ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা যায়, কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। বৈঠকে গণফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি শেষ করে রাতে বিএনপির গুলশান অফিসে যান সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সুলতান মনসুর। এরপর রাতে আবার বৈঠক হয়। যেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছিলেন। এর বাইরেও ফোনেও বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে শনিবারের মধ্যে একটি সমাধান করতে চায় বিএনপি।
ঐক্যফ্রন্টের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিএনপি থেকে গণফোরামকে ৬টি, নাগরিক ঐক্যকে ৪ টি, জেএসডিকে ৩টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে ২টি আসন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু গণফোরাম আরও কয়েকটি আসন চায়। এছাড়া জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও আরো কয়েকটি আসন চায়। মূলত ঐক্যফ্রন্টের চাওয়া মূল আসনের সংখ্যা ২৫-২৮ টি।
একটি সূত্র জানায়, জামায়াতকে ২৫টি আসন দেয়ার বিষয়টি গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন ইতিবাচকভাবে নিতে পারছেন না।
অন্যদিকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন। একই আসনে বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন মনোনয়ন নেন।
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে গুলশান অফিসে বিক্ষোভ করেছে বঞ্চিতদের অনেক সমর্থক।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর সন্তানদের কেউ মনোনয়ন না পেয়ে গুলশান অফিসের বাইরে কান্না করেছেন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া মনোনয়ন না পেয়ে নাখোশ। তাকে কেন্দ্র করেও গুলশানে বিক্ষোভ করেছে সমর্থকরা।
প্রার্থিতা না পেয়ে একজন অভিযোগ করলেন মনোনয়ন বাণিজ্যের। তিনি বলছেন, অনেকে সিঙ্গাপুর থাকে বড় বড় অর্থ-বিত্তের মালিক। দল ও মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে হেরে গেছে অর্থের কাছে।