ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু তনয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রশিক্ষক ও যশোরের সাবেক শিবির নেতা আসাদুল্লাহ ওরফে সাদিককে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যাকাণ্ডে আনসার আল ইসলামের ১৩ জঙ্গি জড়িত ছিল। এদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের তিনজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
স্বীকারোক্তি অনুসারে, ঘটনার সময় ৭ জন অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে পাঁচজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুবায়ের ছিল ইন্টেল গ্রুপে। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল।
বাড্ডা সাতারকুলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানকালে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর বাহাউদ্দিনকে আহত ও অস্ত্র ছিনতাই করে আসাদুল্লাহ পালিয়ে গিয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ছিনতাই হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং এ ঘটনায় আরও কে কে জড়িত আছে জানতে আসাদুল্লাহকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি। পুলিশ মনে করছে, গত দু’বছর থেকে তাদের জঙ্গি তৎপরতা নেই এবং বাংলাদেশে তাদের জঙ্গি তৎপরতার জন্য উপযোগী নয়। এ কারণে তাদের তৎপরতা বন্ধ রয়েছে এবং ‘জিহাদের’ অন্য ক্ষেত্র খুঁজছে তারা।
গ্রেপ্তার আসাদুল্লাহ ঝিনাইদহের মদনপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে পাশ করে যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়া করে। পরবর্তীকালে পেশা হিসেবে একদিকে জঙ্গি তৎপরতা, অন্যদিকে মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রির কাজ করেছে।
টঙ্গি এলাকাতেই আসাদুল্লাহ সাংগঠনিক এবং ব্যবসায়িক তৎপরতা শুরু করে।
সমকামীদের পক্ষে পত্রিকা প্রকাশ এবং আন্দোলনের করার কারণে জুলহাস মান্নানকে জঙ্গি নেতা পলাতক বরখাস্ত মেজর জিয়া হত্যার নির্দেশ দেয় বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ শে এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।