বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী স্মরণে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের যৌথসভা শেষে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দশ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী ২৫ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন: ‘এখন আমরা দুদিনের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাকীগুলো আপনাদের পরে জানিয়ে দেয়া হবে। দুদিনের কর্মসূচি হলো আগামী ২৯ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
এছাড়া ৩০ মে ভোরে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, মহাসচিবের নেতৃত্বে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা ও জিয়ারত, এছাড়া নয়াপল্টনে ড্যাবের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে বলে জানান ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের যৌথসভায় বেশকিছু প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেগুলো হলো: ‘আমরা খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। সরকারের লক্ষ খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা। সেজন্য তাকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
তিনি বলেন: ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকার পরও সরকার তার চিকিৎসার জন্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা বার বার এ বিষয়ে সরকারকে অবহিত করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করছে না। আমরা তার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
ইসির পদত্যাগ চায় বিএনপি
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ মে খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে যৌথসভায়। তাই অবিলম্বে এ অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবী করছি ।
তিনি বলেন: আজ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায়, তারা ফের ভিন্ন মতকে পদদলিত করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। বর্তমান সরকার এখন নতুন কায়দায়, নতুন রূপে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে। এখন সবাই দেখে সব কিছু সুন্দর ও সুষ্ঠু হচ্ছে কিন্তু সুকৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে।’
ইসির সমালোচনা করে তিনি বলেন: ‘নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার যোগ্য না। তারা একটা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করতে পারে ন। তারা কি করে সুষ্ঠু ভাবে জাতীয় নির্বাচন করবে। আমরা কমিশনের পদত্যাগসহ ইসির পুনর্গঠন চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।