কয়েক বছর আগে জালিয়াত চক্র সম্পর্কে জানার পরও ৮ কোটি মার্কিন ডলার স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছিলো যুক্তরাজ্যভিত্তিক বৃহত্তম ব্যাংক এইচএসবিসি।
বিবিসি জানায়, ২০১৩ এবং ১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র হয়ে হংকংয়ে অর্থ স্থানান্তর করে ব্যাংকটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (ফিনসেন) দাবি করেছে, আড়াই হাজারের বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের গোপন নথি তাদের হাতে রয়েছে।
পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সের পর আরও একটি বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হলো।
২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০-এর বেশি ফাইল ফাঁস হয়। এসব ফাইলে ব্যাংকগুলো তাদের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড রাখে।
ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এইচএসবিসি একটি জালিয়াত চক্রের অবৈধ লেনদেন সম্পর্কে জানার পরেও তাতে বাধা দেয়নি।
বরং ব্যাংকটি তাদের মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৮ কোটি ডলার হংকংয়ের এইচএসবিসি ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। চক্রটি ‘পনজি স্কিম’ নামে এক ধরনের জালিয়াতির সাথে জড়িত। যা আসলে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসা।
এমন এক সময়ে এইচএসবিসি ব্যাংক এই দুর্নীতিতে জড়িয়েছিল, যখন ব্যাংকটিকে সদ্য অর্থপাচারের দায়ে ১৯০ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর এইচএসবিসি এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধে কঠোর হওয়ারও ঘোষণা দেয়।
ফাঁস হওয়া নথিতে আরও দেখা গেছে, বিশ্বখ্যাত আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যান অর্থের উৎস না দেখেই লন্ডনের একটি অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি ডলার স্থানান্তর করে। পরে তারা জানতে পারে অ্যাকউন্টটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের এক সদস্যের যে এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে।
অতীতে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি ও গোপন নথি ফাঁস হলেও ফিনসেনের এসব ফাইলকে ভিন্ন বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা এতে বাণিজ্যিক ব্যাংক জেনেশুনে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।