ভারতের লোকসভায় ও রাজ্যসভায় স্থল সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় জাতীয় সংসদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের জনগণ এবং ভারতীয় পার্লামেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে।
প্রস্তাবটি ভোটে যাওয়ার আগে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারতের লোকসভায় স্থল সীমান্ত বিল পাস হওয়ার পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ফোন করে সংবাদটি জানান। আমি তাকে অভিনন্দন জানানোর পরই সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে ফোনে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৪’এ মুজিব-ইন্দিরা যে চুক্তি সই করেছিলেন, সেই পথ ধরেই ভারতের পার্লামেন্টে সীমান্ত বিল পাস হয়েছে।
আগামী ৬ জুন নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আমাদের জন্য বিশাল এক উপহার নিয়ে আসছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে যে প্রটোকল সই করেছিলেন তার কারণেই দ্রুত সময়ের মধ্যে মোদির পক্ষে সীমান্ত বিল পাস করা সম্ভব হয়েছে।
মোদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর আমেরিকা সফরে মোদির সাথে দেখা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য তাকে অনুরোধ করেন। মোদিও দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন, যা তিনি করে দেখিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আশাবাদী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোও আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্রতার সমস্যা দূর করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশ ছোট হলেও রয়েছে বিপুল এক জনগোষ্ঠী। আমাদের জনগণের যদি ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমাদের পণ্য উপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বৃদ্ধি পাবে।
দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ভারতকে ধন্যবাদ জানাতে সংসদে আনা প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
চুক্তির পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মোদিকে অভিনন্দন জানালেও শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ না জানানোয় সংসদ সদস্যরা বেগম জিয়ার সমালোচনা করেন।