ব্যাটিং স্টাইল, টেকনিক, স্ট্রোকস; এমনকি দৈহিক গড়নেও দুজনের মধ্যে অদ্ভুত রকমের মিল! দুজনই বিপিএল খেলছেন রাজশাহী কিংসের হয়ে। উইকেটে নেমে ওপেনিং ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের সঙ্গই বেশি পাচ্ছে তিনে নামা জাকির হাসান। রাজশাহী কিংসের দুই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান লড়ে যাচ্ছেন সমানতালে। দুজনেই বাঁহাতি হওয়ায় কোনটা মমিনুল আর কোনটা জাকির আলাদা করা কঠিন হয়ে যায় কখনও কখনও!
ব্যাটিংয়ের ধরনে এতটা মিল? রহস্য ভাঙলেন জাকির নিজেই, ‘সব সময় আমি সৌরভ ভাইকে (মুমিনুল হক) অনুসরণ করি। আগে মাইক হাসিকে ফলো করতাম।’
জাকির উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান, মুমিনুল অবশ্য কেবল ব্যাটসম্যানই, স্পিনটাও করেন অধিনায়কের ডাক পড়লে। দুজনেই বিকেএসপির ছাত্র। বিকেএসপি থেকেই জাকির বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিপিএলে মুশফিকুর রহিমকে ছেড়ে দিতে হয়েছে কিপিং গ্লাভস। জানালেন, সুযোগ এলে হাসিমুখেই পছন্দের গ্লাভসজোড়া লুফে নিতে চাইবেন ১৯ বছরের এই তরুণ।
‘এই জায়গাটা (কিপিং) কেউই ছাড়তে চায় না। করতে পারলে অনেক ভাল লাগতো। কিন্তু দলে যখন মুশফিক ভাই রয়েছেন, তখন জায়গাটা ওনারই প্রাপ্য। আমি মনে করি, তিনি আমার চেয়ে অনেক ভাল জায়গাটায়। তবে সুযোগ থাকলে অবশ্যই সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’
যুব দলে যখন পারফর্ম করেছেন, সবার নজর কেড়েছেন। তখন থেকেই তাকে জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। রাজশাহীর বিদেশি খেলোয়াড়দেরও চোখে পড়ছেন জাকির। আসছে ইতিবাচক মন্তব্য, ‘তারা সব সময়ই উৎসাহ দিচ্ছেন। বলছেন, তুমি ভাল খেলছো, তোমার শটস ভাল আছে, ইনিংস বড় করার জন্য আরও ওয়ার্কআউট করো। তাহলেই সফল হবে।’
বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম ম্যাচেই চোখ ধাঁধানো সব শট খেলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকির। পরের ইনিংসটি ৩৬ রানের। পরে আর সেভাবে জ্বলে ওঠা হয়নি। তৃতীয় ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর শেষের তিন ইনিংস ছিল ২০, ১৯, ১৭। থিতু হয়ে সাজঘরে ফেরার বেদনা। এই বৃত্ত থেকে বের হয়ে শুরুর মতো শেষটাও রাঙাতে চান জাকির। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘আমার শুরুটা ভাল হচ্ছে। কিন্তু ফিনিশিং ভাল হচ্ছে না। আমাদের এখনও দুটি ম্যাচ রয়েছে, আবারও যদি ভাল শুরু করতে পারি, ইনিংসটা বড় করার চেষ্টা করব। দলের দিক থেকে বলব, যে দুটি ম্যাচ আছে সেখানে জিততে পারলে শেষ চারেও খেলার সুযোগ থাকবে। সেই চেষ্টাই থাকবে আমাদের।’