রাজধানীতে জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে গেন্ডারিয়া থানার ওসিসহ চারজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী।
নাশকতার পরিকল্পনা করতে দয়াগঞ্জ নামাপাড়া বস্তির ভেতর কয়েকজন জঙ্গি সমবেত হয়েছে এমন খবরে মধ্যরাতের কিছু পর সেখানে বিশেষ অভিযানে যায় ওয়ারি অপরাধ বিভাগের পুলিশ দল। ওই বস্তি ঘিরে ফেললে পুলিশকে লক্ষ্য করে ভেতর থেকে এলাপাথারি গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
গুলিবিদ্ধ হন গেন্ডারিয়া থানার ওসি ছাড়াও মিলন সজীব এবং স্বপন নামে ৩ সন্ত্রাসী। অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেফতার যুবকরা ডাকাতির প্রস্ততি নিতে ওই বস্তিতে সমবেত হয়।
ডিসি, ওয়ারি অপরাধ বিভাগ সৈয়দ নূরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যারা সংঘবদ্ধভাবে আছে তারা জঙ্গি নাকি ডাকাত নাকি অন্য কোনো অপরাধের জন্য, আমরা যখন অপারেশন চালাই তখন এমন অনেকেই গ্রেফতার হয় যেমন শনিবার রাতেও জঙ্গি ছাড়া অনেকে গ্রেফতার হয়েছে তারাও আইনের চোখে অপরাধী। আমরা এলোমেলো সাধারণত রেইড দেই না, আমরা সুস্পষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই রেইড দেই।
অসতর্কতার কারনেই ওসি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না, প্রশ্ন ছিলো সাংবাদিকদের।
সৈয়দ নূরুল ইসলাম আরও বলেন, রাতের বেলা তার উপর অত্যন্ত ঘিন্জি এলাকা চারদিকে, এলাকার আড়ালকে কাজে লাগিয়ে তারা গুলি চালিয়েছে কোনো প্রকার অসতর্কতা ছিল না।
জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানের দ্বিতীয় দিন বরগুনা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলায় জেলায় বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির আর ৪৭ নেতা-কর্মী। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।