লাখ কণ্ঠে নয়; কোটি কণ্ঠে বিশ্বব্যাপী জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিকামী সকল মানুষ, জাতীয় সঙ্গীতের পবিত্র সুরে বিশ্বব্যাপী প্রতিহত করবেন যুদ্ধাপরাধ, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে; শপথ নেবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যে।
বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে গত দু’বছরের ন্যায় এ বছরও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিজয় উৎসব ২০১৫।
এ উপলক্ষে আজ ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ৭১ ফাউন্ডেশন।
এ বছর প্রতিটি জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বাইরে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাঙালিসহ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমর্থনকারী সকল মানুষ বিকেল ০৪:৩১ মিনিটে গাইবেন আমাদের প্রাণের জাতীয় সঙ্গীত- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি..
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছরে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে এসেছে সামনে, তেমনি একাত্তরের পরাজিত শক্তির হিংস্র থাবা বারবার আক্রান্ত করেছে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে। একাত্তরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলছে, কার্যকর হচ্ছে রাজাকারদের বিচার; তেমনি একাত্তরের মতোই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি হত্যা করছে স্বাধীনতার পক্ষের লেখক-প্রকাশকসহ মুক্তচিন্তক মানুষদের। ধর্মে ধর্মে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ সংঘাত সংঘর্ষ ও হানাহানি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হচ্ছে। তাই এবারের বিজয় দিবস উদযাপন হবে আরও সাহসী, আরও প্রাণবন্ত আরও বর্ণিল।
ওই আয়োজনে দেশের সংস্কৃতিসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বব্যাপী কোটি কণ্ঠে প্রাণের জাতীয় সঙ্গীত, আগামী বাংলাদেশের শপথ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের গান, বিজয় আতশ সজ্জা, বিজয় মঞ্চে জনপ্রিয় ব্যান্ডদলের অংশগ্রহণে ‘কনসার্ট ফর ফ্রিডম’ আয়োজন করা হয়েছে।
বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, যুগ্ম-আহবায়ক কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং সদস্য-সচিব গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। কমিটির উপদেষ্টা পর্ষদের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী।
বিজয় উৎসব ২০১৫ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা এগারোটায়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপদেষ্টা পর্ষদের অন্যতম সদস্য সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খাইরুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক ড. অজয় রায় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষণী।