সরকার নিজেদের স্বার্থে জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে ওই আগুন নিয়ে ‘খেলতে’ না করেছেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ‘শহীদ জিয়ার ভূমিকা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন: আমরা আগেও বলেছি আগুন নিয়ে খেলবেন না। জঙ্গিবাদ হচ্ছে ভয়াবহ আগুন। আজকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া ধ্বংস হয়ে গেছে সেই আগুনে। বাংলাদেশকে সে পথে নিয়ে যাবেন না।
‘১৯৭১ সালের পর আজকে দেশে সবচেয়ে দুঃসময় যাচ্ছে’ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলেন বিএনপি’র দুঃসময় যাচ্ছে। কিন্তু এটি বিএনপির দুঃসময় নয়, এটি স্বাধীন বাংলাদেশের দুঃসময়, সমগ্র জাতি ও মানুষের দুঃসময়।
তিনি বলেন, ‘আজকে পথে ঘাটে লাশ পড়ে থাকছে। এভাবে ১৯৭৪-৭৫ সালে মানুষের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি আমরা। আজকে বিনা কারণে মানুষকে তুলে নেয়া হচ্ছে। তারপর তিন মাস বা চার মাস পর নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বানিয়ে হত্যা করছে সরকারি বাহিনী।’
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হানিফকে তুলে নেয়ার খবর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এর সত্য উদঘাটন করুন। এভাবে মানুষের জীবন নিয়ে খেলবেন না। নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বানিয়ে হত্যা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। এদেশের মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মপ্রাণ।’
সরকার জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন: আগুন নিয়ে খেলবেন না। আজকের আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকান। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করাবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতে যান, আমাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু দেশের মানুষ ভারতের সঙ্গে চুক্তির আগে তিস্তার পানি চায়, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চায়, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে, কোন মতেই দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে দেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। তবে জনগণের ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দিতে হবে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে ৪৫ বছর পর এসে আর কোন আলোচনার প্রয়োজন নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছেন তা জনগণ জানে। আওয়ামী লীগের দুর্বলতা আছে বলেই এসব নিয়ে বিতর্ক করে।’