শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শিশু সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। তবে এখন ছোট হয়ে এসেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী সব শিশু সংগঠন। কচিকাঁচার মেলা, খেলাঘর আসর, চাঁদের হাট, মুকুল ফৌজের মতো বড় সংগঠনগুলোর কার্যক্রম অনেক কম। পাড়া-মহল্লাভিত্তিক শিশু সংগঠনগুলোও আর আগের মতো নেই।
সব জেলা-উপজেলা মিলে কচিকাঁচার মেলার এক সময় ৫শ’র মতো শাখা থাকলেও এখন ৪৩ জেলায় একশ’র মতো শাখা টিকে আছে।
এ মুহূর্তে শিশু সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাখা আছে খেলাঘর আসরের। তবে সংগঠনটি দুই ভাগে বিভক্ত। দুই অংশ মিলিয়ে শাখা ৫শ’র বেশি।
স্বাধীনতার আগে সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে মুকুল ফৌজ ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় শিশু সংগঠন। মুকুল ফৌজের অনেক সদস্য সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বর্তমানে এর কোনো কেন্দ্রীয় কার্যালয় নেই। এক সময় ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত থাকলেও এখন সারাদেশে শাখা আছে ২০-২৫টি।
তবে মুকুল ফৌজ ময়মনসিংহে এখনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
এক সময় সারাদেশে সক্রিয় থাকা চাঁদের হাটের কার্যক্রমও এখন সীমিত। বর্তমানে এ সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা শাহ আলমগীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদেরও সভাপতি।
পাড়া মহল্লাভিত্তিক আরো অনেক সংগঠনের কার্যক্রমও এখন আর নেই।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে এ শিশু সংগঠনগুলোকে আবারো সক্রিয় করে তোলা দরকার। আর এজন্য প্রয়োজন উদ্যোগী সংগঠক আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: