উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ থেকে যাচ্ছে। সরাসরি সম্প্রচারের পর এবার চ্যানেল আইয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রচার হবে পাঁচ দিনের উৎসবের নানা আয়োজন।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেছেন: বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীতের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশ ও দেশের বাইরের দর্শকদের জন্য রাত ২টা থেকে আমরা সরাসরি সম্প্রচার করেছি এই উৎসব, তাছাড়া সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খবরের সময়ে খণ্ড খণ্ডভাবে প্রচার করা হয়েছে। খু্ব শিগগিরই ধারাবাহিকভাবে এটি চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে।
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের শেষ রাতে অগণিত দর্শক যখন হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশিতে মুগ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় মঞ্চের সামনে অপেক্ষমান, তার আগে ছোট একটি আনুষ্ঠানিকতায় উৎসব আয়োজন ধারাবাহিকভাবে চ্যানেল আইয়ে প্রচারের কথা জানান শাইখ সিরাজ।
চৌরাসিয়া মঞ্চে ওঠার আগে যষ্ঠবারের মতো আয়োজিত এই উৎসবের প্রথমবার ধারণ ও সম্প্রচার সহযোগী চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এবং মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরীকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ এবং পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু।
উচ্চাঙ্গ সংগীতের উৎসব আয়োজনের জন্য তাদের শুভেচ্ছা জানাতে এই আয়োজন করা হয়।
সম্পর্কের উষ্ণতা
চ্যানেল আইয়ের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন: আগেও বহুবার চ্যানল আইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি, এবারও কাজ করছি। সম্পর্কের যে উষ্ণতা আছে সেটা চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে কাজ করলে খুব ভালোভাবে টের পাওয়া যায়।
‘আন্তরিকতা ও উষ্ণ সম্পর্কে যে একটা জোর থাকে, সেই শক্তিতে আমরা আজ বলীয়ান।’
ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের হাতে স্মারক তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্ব শুরু হয়।
বাংলাদেশ মানেই গানের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান
সেসময় চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন: পাঁচ বছর ধরে এই অনুষ্ঠান চললেও এবারই প্রথমবারের মতো ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এই উৎসবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হলো। বাংলাদেশের মানুষ গানের যে অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হবে সেটাই হবে বিশ্বের গানের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। উচ্চাঙ্গ সংগীতের এই অনুষ্ঠানটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান।
‘গানের প্রতি এই ভালোবাসাই আমাদের অনেক দূর নিযে যাবে। বছরের শুরুর দিন আমরা সুরের ধারা, ছায়ানটের গান শুনি। আমরা সংগীতকে ভালোবাসলে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অনেকগুলো পথের মধ্যে একটি পথ সহজ হবে।’
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটায় শেষ হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের ষষ্ঠ আয়োজন। পাঁচ রাত ধরে নাচ, গান ও নানান সুরে মুগ্ধ হয় হাজার হাজার দর্শক।
ছবি: তানভীর আশিক