বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর উয়েফা নেশনস লিগে দেখা মিলেছে ’অচেনা’ জার্মানির। দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যাওয়া দলটি ইউরো ২০২০ কোয়ালিফায়ারেও থাকছে চাপে। নেশনস লিগের পর ইউরোতে জার্মানরা পড়েছে নেদারল্যান্ডসের গ্রুপেই।
নেশনস লিগে ডাচদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি জার্মানি। তার মধ্যে একটি হার ছিল আবার ৩-০ গোলে। এবার জোয়াকিম লো’র সুবিধা, পাঁচ দলের গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ে থাকলেই মিলবে ইউরোতে খেলার সুযোগ।
রোববার আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে হয় ইউরো ২০২০ কোয়ালিফায়ারে ড্র। সেখানে প্রথম চারটি গ্রুপে শুরুতেই জায়গা পেয়ে যায় এ বছর নেশনস লিগের সেমিফাইনাল ওঠা চার দল পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। তারপর ড্র হয় মোট ১০টি গ্রুপের জন্য। যার থেকে প্রথম দুটি করে দল ইউরোর মূলপর্বে যাবে। বাকি চারটি দল ঠিক হবে উয়েফা নেশনস লিগের প্লে-অফ থেকে। যে খেলা হবে ২০২০’র মার্চে।
জার্মানির কঠিন হলেও বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের গ্রুপ তুলনামূলক সহজ। আইসল্যান্ড ও তুরস্ক ছাড়া সেরকম বড় কোনো দল নেই গ্রুপে। তবে বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ খুব একটা সহজ নয়। তাদের গ্রুপে আছে গ্যারেথ বেলের ওয়েলস ও স্লোভাকিয়া।
গ্রুপ ’এ’তে ইংল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী চেক প্রজাতন্ত্র। তাদের সঙ্গে থাকছে বুলগেরিয়াও। পর্তুগালের গ্রুপে যেমন বড় দল ইউক্রেন ও সার্বিয়া। গ্রুপ ’সি’তে জার্মানি-নেদারল্যান্ডসকে চাপ দিতে পারে নর্থ আয়ারল্যান্ড। গ্রুপ ‘ডি’তে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীতা দেখা যেতে পারে সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আয়ারল্যান্ডের মধ্য।
বিশ্বকাপের তিননম্বর দল এডেন হ্যাজার্ড-রোমেলু লুকাকুদের বেলজিয়ামের গ্রুপে রাশিয়া ছাড়া বড় কোনো দল নেই। ইতালির গ্রুপে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ও ফিনল্যান্ড। স্পেনের প্রতিপক্ষ সুইডেন ও নরওয়ের মতো দল।