বিপিএল সিজন থ্রীতে পরপর চতুর্থতম ম্যাচে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মুশফিকের সিলেট সুপারস্টার্স। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে তারা হেরেছে ৩৪ রানে। আসরের তৃতীয় জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস।
ঢাকার ছুড়ে দেওয়া ১৬৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতেই ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস।
ঢাকা ডায়নামাইটসের ছুড়ে দেওয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও মাত্র ৩৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সিলেট সুপারস্টার্স।
দুই ওপেনার দিলশান মিনাওয়েরা এবং জোশ কব ওপেনিং জুটি থেকেই তুলে নেন ৩১ রান।
জুনিয়র দিলশানকে ফিরিয়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইন আপে সর্বপ্রথম ভাঙন ধরান আবুল হাসান। এরপর একে একে কব, মুমিনুল এবং বাপারা ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে সুপারস্টার্সদের ব্যাটিং লাইনআপ।
এরপর নুরুল হাসানকে সঙ্গী করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে তাদের প্রতিরোধ জুটিও বেশি দূর এগোতে পারেনি। দলীয় ৮০ রানে মুশফিক বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান মিলন। তারা দু’জনে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৩৭ রান। এরপরই ফেরেন মিলন। দলীয় স্কোর তখন ১১৭ রান।
তবে সুপারস্টার্সদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন নুরুল হাসান। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১ বল বাকি থাকতেই ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় সুপারস্টার্সের ইনিংস। ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট নেন মোশারফ হোসেন।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুমার সাঙ্গাকারার ৭৫ রানের ওপর ভর করে সিলেট সুপারস্টার্সকে জয়ের জন্য ১৬৭ রানের টার্গেট দেয় ঢাকা ডায়নামাইটস।
ইনিংসের চতুর্থ বলে স্কোর বোর্ডে ১ রান যোগ হতেই সৈকত আলীর উইকেট তুলে নেন সুপারস্টার্স পেসার মোহম্মদ শহীদ। তবে শুরুর এ ধাক্কা খুব একটা কাবু করতে পারেনি ডায়নামাইটসদের।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কুমার সাঙ্গাকারা ও সাদমান ইসলামের ৩২ রানের জুটিতে স্বস্তি ফেরে ঢাকা শিবিরে। এরপর ব্যাক্তিগত ১৫ আর দলীয় ৩৩ রানে সাদমান বিদায় নিলেও বড় স্কোর দাঁড় করাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নাসির বাহিনীকে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নাসির হোসেনকে সঙ্গী করে সাঙ্গাকারা ৬৬ রানের জুটি গড়লে বড় স্কোরের সুবাস পেতে থাকে ঢাকা।
তবে দলীয় ৯৯ রানে নাসিরের বিদায় কিছুটা চিন্তায় ফেলে দেয়। নাসির সুপারস্টার্সের বাহাতি বোলার নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। ফেরার আগে, ২৯ বল খেলে ৩ চারে সংগ্রহ করেন ৩৩ রান।
নাসিরের বিদায়ে সুপার সাঙ্গার সঙ্গী হন স্বদেশী লাহিরু থিরিমান্নে। দু’জন মিলে ডাইনামাইটসদের রানের চাকা সচল রাখেন। ব্যাক্তিগত ১৩ রান রানে যখন থিরিমান্নে ফিরে যান তখন তখন দলীয় স্কোর ১২৬। তার বিদায়েও এক প্রান্ত আগলে থেকে খেলতে থাকেন সাঙ্গাকারা।
সাঙ্গাকার বিদায় নেন ১৯তম ওভারে। মোহম্মদ শহীদের বল তুলে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে মুমিনুলের তালুবন্দী হন এ লংকান। শেষ পর্যন্ত ঢাকার ইনিংস থামে ১৬৬ রানে।
ডাইনামাইটসদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন সাঙ্গাকারা এবং সিলেটের পক্ষে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন মোহম্মদ শহীদ।