বন্দর নগরী চট্টগ্রামে তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। রান্নাঘরের চুলা থেকে শুরু করে গাড়ির চাকা সবই অচল হওয়ার পথে। কর্তৃপক্ষ বলছে, জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে গ্যাসের চাহিদা ৪শ’৮০ থেকে ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে হঠাৎ করেই গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাসাবাড়ি এবং সিএনজি স্টেশনগুলোতে চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। গ্যাস ছাড়া এভাবে চলা সম্ভব না। গ্যাসের জন্য রান্না করা যায় না বলে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।
সিএনপি ফিলিং স্টেশনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনোটা হয়তো দুই ঘণ্টা বা তিনটা ঘণ্টা চালু রাখা হচ্ছে। স্টেশনগুলো দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাসের কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলেও জানান সিএনপি ফিলিং স্টেশন কর্মকর্তা।
এ সংকট উত্তরণে তেমন আশার বাণী শোনাতে পারছেন না কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী খোন্দকার মতিউর রহমান। তিনি বলেন, যে পরিমানে গ্যাগ পাওয়া যেতো বর্তমানে আমরা ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম পাচ্ছি। এতো কম পাওয়ার কারণে আমাদের নেটওর্য়াকে লো পেসার বিরাজ করছে। যার জন্য বিভিন্ন শিল্প কারখানা, বাসাবাড়ি ঠিক মতো গ্যাস পাচ্ছে না। তবে দু’তিন দিনের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
কিন্তু নগরবাসীরা বলছেন, গ্যাসের সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে গৃহস্থালি কাজ-কর্মের সঙ্গে বন্দর নগরীর ব্যবসা-বাণিজ্যও হুমকির মুখে পড়বে।