বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেছেন, প্রযুক্তি,পরিবেশ আর ভারসাম্যমূলক অর্থনীতির দায়িত্ব নিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চায় ব্যাংকখাত। প্রথমবারের মতো দেশে ৫ দিনের ’ব্যাংকিং মেলা বাংলাদেশ-২০১৫’ উদ্বোধন করে তিনি বলেন, এ ধরণের আয়োজন ব্যাংকিং সেবাকে মানুষের কাছে আরো জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রাখবে ।
‘একটি ব্যাংকিং জাতি গড়ার প্রত্যয়ে’ শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ’ব্যাংকিং মেলা বাংলাদেশ’-এর আয়োজন করা হয়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এ মেলায় অংশ নিচ্ছে ৫৬টি ব্যাংকসহ ৮০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮০টির বেশি স্টল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আতিউর রহমান বলেন, এই মেলা ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতির এক উপলক্ষ্য। ব্যাংকগুলোর লক্ষ্য দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সেবা পৌছে দিতে হবে মানুষের দ্বারে দ্বারে।
দেশের রাজস্ব আয়ের প্রায় ৪৪ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। বক্তারা বলেন, সামনের দিনগুলোতে বিভাগীয় ও জেলা শহরে ওই মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ।
ব্যাংকিং মেলার প্রধান সমন্বয়কারী ডক্টর বিরূপাক্ষ পাল জানান, শুধু মুনাফা অর্জনই ব্যাংকগুলোর লক্ষ্য হতে পারে না। আরও নানামুখী সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে সামাজিক সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর সময় এসেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাতের প্রসারে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে। ফলে সার্বিকভাবে এগিয়ে যাবে দেশ ও দেশের অর্থনীতি।
ব্যাংক সচিব ডক্টর এম আসলাম আলম বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত প্রসারিত হবে এবং সেবাও বাড়বে।
মেলায় রয়েছে কৃষক, শিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধী এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন নতুন সেবা আর স্কিম ( বিশেষ সেবা) ব্যবস্থা।এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
মেলায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলা শেষ হবে ২৮ নভেম্বর। চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। মেলাটি সবার জন্য উন্মুক্ত।