অতঃপর মুখ খুললেন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ‘গোপনীয় চুক্তিতে’ স্বাক্ষর না করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ঢুকলেন তিনি।
নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলসের কোর্টে তিনি এ মামলা করেন। তবে ছদ্মনামের স্টর্মির আসল নাম স্টেফ্যানি ক্লিফোর্ড।
ক্লিফার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, আমার সঙ্গে ট্রাম্পের যে চুক্তি হয়েছিল, তা বাতিল হয়ে গেছে। তার সাথে আমার গোপন সম্পর্কের বিষয়ে আমি এখন প্রকাশ্যে আলোচনা করতে পারি।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিনদিন আগে স্টর্মি ড্যানিয়েল (ক্লিফার্ড ) এবং ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন অর্থ লেনদেন বিষয়ে একটা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে মামলার নথি পত্রে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের সাথে পর্ন তারকা স্টর্মির যে অবৈধ সম্পর্ক আছে, সে বিষয়ে পর্ন তারকার মুখ বন্ধ করতে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে তাদের দুই’জনের মধ্যে একটা চুক্তি হয়। যে চুক্তিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর দেয়নি।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সাথে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি দেখভাল করেন ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। স্টর্মির দাবি এখন ওই আইনজীবীও চুপ আছে। তাই তিনি মামলা করতে বাধ্য হয়েছে।
আইনজীবীর চুপ থাকা বিষয়টি দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়, ট্রাম্পকে রক্ষা করার জন্য তিনি এখন চুপ আছে।
স্ট্রর্মি অভিযোগ করে বলেন, ২০০৬ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে নেভাদায় লেক তাহোয়ের একটি সেলিব্রিটি গলফ টুর্নামেন্টে তার দেখা হয়। এর এক বছর আগেই ট্রাম্প তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।