ঢাকায় এসে পরেরদিনই মাঠে নেমে পড়েছেন ক্রিস গেইল। তাকে নামিয়েও মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে মাঝারি লক্ষ্য দিতে পেরেছে ফরচুন বরিশাল। সাকিবদের বিপক্ষে জিততে মাহমুদউল্লাহদের করতে হবে ১৩০ রান।
সোমবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ফরচুন বরিশাল ২১ রানের ওপেনিং জুটি পায়। পরে ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। শুভাগতকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত লং-অফে থাকা নাঈমের উড়ন্ত ক্যাচ হন, ৫ রানে থামেন।
পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন আরেক ওপেনার সৈকত আলী। এক চার ও এক ছক্কার মারে ১৫ রান করে যান। হাসান মুরাদের বলে এগিয়ে মারতে গিয়ে লং-অফে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন। পরের ওভারেই আন্দ্রে রাসেলের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন রান না পাওয়া তৌহিদ হৃদয়।
চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইল ৩৭ রান তুলে ধাক্কা সামালের চেষ্টা করেন। একাদশ ওভারে রুবেল হোসেনের বাউন্সারে কাট করতে গিয়ে সর্বনাশ ডেকে আনেন সাকিব। ১৯ বলে ২ চার ও এক ছক্কার মারে ২৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
পরের ওভারে নুরুল হাসান সোহানের উইকেট পান ঢাকার অধিনায়ক রিয়াদ। এক রান করা সোহান স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে জহুরুলের হাতে ধরা পড়েন। বরিশালের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৬১ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে স্বদেশি ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন গেইল। ৩৩ রানের জুটি গড়েন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৬ রান করে সাজঘরে হাঁটা দেন। ইসুরু উদানার বলে স্লগ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে রিয়াদের ক্যাচ হন।
সুবিধা করতে পারেননি জিয়াউর রহমানও। উদানার বলে পুল খেলে আরাফাত সানির হাতে ধরা পড়েন। এক রানে আটকে যান।
দলকে টানার চেষ্টা করেছিলেন ব্রাভো। ২৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই বলে এক চারে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম। ৮ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিবের দল।