পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে ক্রিস গেইলকে বিপিএলে পেতে দ্বিগুণ অর্থ খরচ করতে হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। এমন অবস্থায় দলটির পরিচালক জালাল ইউনুস চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, নির্ধারিত মূল্যে গেইল খেলতে না এলে তার বিকল্প ভাবা হবে।
ক্যারিবীয় বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান গেইলকে ১ লাখ ডলারে (বাংলাদেশি টাকায় ৮৫ লাখ) ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরি থেকে দলে নেয় চট্টগ্রাম। বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানালেন, ‘গেইলের ভারতীয় এজেন্ট এখন অনেক বেশি পারিশ্রমিক দাবি করছেন। অঙ্কটা দ্বিগুণ, ২ লাখ ডলার। আমরা কম্প্রোমাইজ করব না। নির্ধারিত মূল্যে সে খেলতে না চাইলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।’
গেইলের বিকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচি থাকায় বড় মাপের টি-টুয়েন্টি স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানকে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে দলটির জন্য, ‘আমরা গেইলের জায়গায় কাকে নিতে পারি সে সিদ্ধান্ত হয়নি। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপার আছে। এখন তো ওরকম কাউকে পাওয়াও সম্ভব নয়।’
নিলামে খেলোয়াড়দের নাম আসে এজেন্টের মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের সই দেয়া চিঠি (কনসার্ন লেটার) পেলে নাম তোলা হয় খেলতে ইচ্ছুকদের তালিকায়। ড্রাফটের আগেই দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্যাটাগরি ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে দেয় বিসিবি। সে অনুসারে বিদেশি খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি থেকে গেইলকে ডেকে নেয় চট্টগ্রাম।
ড্রাফট সম্পন্ন হওয়ার ১০দিন পর জানা যায় গেইল নিজেই জানেন না তিনি বিপিএল খেলবেন! ড্রাফটে নাম কীভাবে এলো সে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন টি-টুয়েন্টির এ ফেরিওয়ালা। বিসিবি ক্রসচেক করে দেখতে পায় গেইলের সই ঠিকই আছে। প্রক্রিয়া মেনেই হয়েছে সব।
পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার পেছনে ভারতীয় এজেন্টের হাত দেখছেন জালাল ইউনুস। সই নকল করে ড্রাফটে নাম ওঠানোয় ওই এজেন্টের ওপর চরম বিরক্ত তিনি। নতুন করে দরদাম করারও আগ্রহ হারিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এ পরিচালক।
বিপিএলের প্রতিটি আসরেই খেলেছেন গেইল। বিশেষ কিছু না ঘটলে এবার তাকে ছাড়াই হতে যাচ্ছে বিশেষ এডিশন বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হলে হয়ত ব্যবসায়িক দিক চিন্তা করে যত দামই হোক কেউ না কেউ নিয়ে আসত গেইলকে। তাতে বাড়ত বিপিএলের রং।
বিসিবি এবার নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় আসরটি আয়োজন করায় নির্দিষ্ট বাজেট ঠিক করে দেয়া হয়েছে দলগুলোকে। যেখান থেকে নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ দিয়ে কাউকে আনা কঠিনই।