নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চলন্ত বাস থামিয়ে ভেতরে থাকা ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা নিছক ছিনতাই নাকি টার্গেট কিলিং সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যা রহস্য উদঘাটনে নিহত ব্যবসায়ীর প্রোফাইলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তদন্তকারীরা।
সোমবার রাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের মাহমুদপুরে বোমা ফাটিয়ে বাসের গতিরোধে করে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যাচাই বাছাই করা হচ্ছে তাদের দেওয়া তথ্য। তবে নিহতের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতার বিষয় জানাতে পারেননি স্বজনরা।
হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবি করেছে পরিবারের সদস্যরা। নুরুল ইসলামের বাবা কাজী হানিফ বলেন, আমার জানা মতে, তার কোনো শত্রু নেই। এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো সেটা আমরা বলতে পারছি না।
নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা ছেলে হত্যার বিচার চাই।
গুলি করে ছিনিয়ে নেওয়া ব্যাগে কি ধরণের কতোটা মূল্যবান সম্পদ ছিলো তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেন, ‘চারজন লোক বাসে উঠে শুধু ওনাকে (নুরুল ইসলাম) লক্ষ্য করেই গুলি করে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা কাউকে গ্রেফতার করিনি। তবে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
এই ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।
নিহত নুরুল ইসলামের আরও কোনো ব্যবসা ছিলো কি না জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।