করোনাকালে সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি যে প্রণোদনা, তার বেশির ভাগই গিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প তথা গার্মেন্টস সেক্টরে। এছাড়া বর্তমানে গার্মেন্টস খাত রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এতোকিছুর পরেও গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক অসন্তোষের দেখা মিলছে সাম্প্রতিক সময়ে।
জোর করে পদত্যাগ করানো, বেতন দিতে দেরি, কর্মী ছাটাইসহ নানা অভিযোগে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের। করোনাকালেও দেশের বিভিন্ন শ্রম এলাকায় সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করে মাঝে মাঝেই সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন তারা। বিষয়টি খুবই চিন্তার।
পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, চলতি মাসের দ্বিতীয় দিনের পর থেকেই ধীরে ধীরে রপ্তানি বাড়ছে। সর্বোচ্চ ২০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয় ১৩ আগস্ট। গেল ২২ আগস্ট হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি।
করোনাকালিন পরিস্থিতি বিবেচনায় পোশাক রপ্তানি নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও তা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। মূলত ইউরোপের বাজারে স্বাভাবিকতা ফিরে আসায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। নতুন ক্রয়াদেশ ছাড়াও করোনার কারণে আটকে যাওয়া পুরনো ক্রয়াদেশের পণ্যও রপ্তানি হচ্ছে।
সরকারের প্রণোদনা ও রপ্তানির ঘুরে দাড়ানোর চিত্রে হয়তো পুরো খাতের আসল অবস্থা বোঝা যাবে না। হয়তো কিছু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমস্যা রয়েই গেছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় করে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ছোট বা দূর্বল প্রতিস্ঠানগুলোর সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা জরুরি। যাতে করে শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয়ে বিদেশী ক্রেতাদের অনাস্থা তৈরি না হয় এবং দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে না পড়ে। ওই বিষয়ে গার্মেন্টস শিল্পের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের একটি সরাসরি মনোযোগ দরকার বলে আমরা মনে করি।