দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১শ’ ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।
এ নির্বাচনে একটি পৌরসভাসহ ১৫ ইউনিয়নে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪শ’২৬ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচন ঘিরে কয়েক স্তরের ব্যাপক নিরাপত্তার প্রস্তুতিও গ্রহণ করে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে নির্বাচনের ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, গণফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জেপি ও স্বতন্ত্রসহ সাতজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ বলছে, এমপি লিটনকে হত্যায় জাপার সাবেক এমপি কাদের খান জড়িত থাকায় সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে প্রত্যাখান করবে। আর জাতীয় পার্টির দাবি, একজনের বিচ্ছিন্ন অপরাধের দায় দলের নয়।
এমপি লিটনের মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন ৫ জানুয়ারী গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) জাতীয় সংসদ শুন্য আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ওই আসনে ২২ মার্চ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে বগুড়া জেলা শহরে কাদের খাঁনের পরিচালিত গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি লিটন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। রিমান্ডের চতুর্থ দিনের মাথায় কাদের খাঁন আদালতে ১৬৪ ধারায় লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা কারাগারে আছেন।