উচ্চ আদালত থেকে খালাস পাওয়ার ৮ বছর পরও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি ফেনীর দাগনভূঁইয়ার খুরশিদ আলম। নিম্ন আদালত থেকে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র উধাও হয়ে যাওয়ায় তার মুক্তি আটকে আছে।
২০০২ সালে ফেনীর দাগনভূঁইয়া থানার হত্যা মামলায় ২০০৫ সালের ৯ অক্টোবর দোকান কর্মচারী খুরশিদ আলমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে তার পক্ষ থেকে কেউ কোনো আপিল না করায় হাইকোর্ট থেকে বিধি অনুযায়ী জেল আপিল করা হয়।
ওই জেল আপিলে ২০১০ এর ২৯ নভেম্বর খুরশিদ আলমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হলেও আর কোনো আইনি প্রক্রিয়া এগোয়নি। ফেনীর আদালতে এর কোনো হদিস পাননি খুরশিদ আলমের স্বজনরা।
সম্প্রতি বিষয়টি জানার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে রায়ের সার্টিফাইড কপি তোলার উদ্যোগ নেন।
চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পাওয়া ওই কপিতে দেখা যায়, খালাসের রায়ের অনুলিপি ফেনীর আদালতে পাঠানো হয় ২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেখানে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় মুক্তি পাননি খুরশিদ আলম।
তবে এসব নিয়ে আর আক্ষেপ করতে চান না গ্রামে বসবাস করা খুরশিদ আলমের স্বজনরা। সন্তানদের এখন একটাই চাওয়া, কবে মুক্তি পাবেন তাদের বাবা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর খুরশিদ আলমের খালাসের আবেদনসহ রায়ের সার্টিফাইড কপি ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। ২ অক্টোবর এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।