কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি সহায়তায় খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমারম্ভ বক্তৃতায় উদ্ভাবনী সাফল্যগুলো জনপরিসরে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ২১তম ব্যাচের সমারম্ভ। তিনটি অনুষদের ২১০ জন শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্য বক্তৃতায় কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ নতুন শিক্ষার্থীদেরকে মনে করিয়ে দেন শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে।
তিনি বলেন, আগামীতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আমাদের এত বিপর্যস্ত করবে যে, তা মোকাবেলা করতে যে পরিমাণ প্রযুক্তি ও গবেষণা আমাদের দরকার হবে সেটা তৈরি করবেন আপনারা। সেটাই দেবে খাদ্য নিরাপত্তা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবনী সাফল্য সরাসরি গণমানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতমবুদ্ধ দাশ কৃষি প্রযুক্তি ও জ্ঞান সম্প্রসারণে শাইখ সিরাজের অবদানের কথা তুলে ধরেন। বলেন, আজ যে আমরা কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি তার কৃতিত্বের দাবীদার উনি।
বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ, এটি দেশের কৃষিবিদদের প্রধান সাফল্য। দেশে জমির পরিমাণ অনেক কমেছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কবিরুল ইসলাম খান, প্রক্টর প্রফেসর ড. গৌতম কুমার দেবনাথ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন, ড. রাশেদুল হাসানসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র এবং নবাগত শিক্ষার্থীর অবিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফিলিপিন্স থেকে গুসি শান্তি পুরস্কার লাভ করায় কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।