বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়া আর কোরি অ্যান্ডারসনের ঝড়ে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা আগেই কঠিন হয়ে পড়েছিল। পরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তার ষোলোকলা পূর্ণ হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ হেরে ওয়ানডে সিরিজের পর টি-২০ সিরিজেও হোয়াইটশওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
নিয়ম আর সম্মানরক্ষার শেষ ম্যাচে কিউইদের কাছে ২৭ রানে হারে টাইগাররা। কোরি অ্যান্ডারসনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রথম ব্যাট করে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে নির্ধারত ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৭ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ভালো শুরুর পর আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল। ট্রেন্ট বোল্টের বলে পুল করতে গিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। পঞ্চম ওভারে তামিম ফেরার সময় দলের স্কোর ছিল ৪৪। আর ফেরার আগে ১৫ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২৪ রান করেন তিনি।
ফিল্ডিংয়ের সময় ইমরুল কায়েস চোট পাওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামেননি। তার জায়গায় আজ ওপেনিংয়ে ফেরেন সৌম্য। বড় লক্ষ্য তাড়ায় করতে নেমে দ্রুত ব্যাট চালান তিনিও। ব্যাটে-বলে লাগছিলও ভাল। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট হয়ে যান সৌম্য। নবম ওভারে দলীয় ৮২ রানের মাথায় ২৮ বলে ৬টি চারে ৪২ রান করে ইশ সোধিকে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি।
সৌম্য ফেরার পর থেকেই নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পিচে থিঁতু হওয়ার আগেই সাজঘরমুখী হন সাব্বির রহমান। দলীয় ৯৭ ও ব্যক্তিগত ১৮ রানের সময় কেন উইলিয়ামসনের বলে পরিস্কার বােল্ড হন সাব্বির।
এদিন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি প্রথম ম্যাচে ভাল করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ১৪ বলে ১৮ রান করে ইশ সোধির বলে তিনিও বোল্ড হন। পরে সাকিব আল হাসানের ধীরগতির ৪১ ও মোসাদ্দেক আলীর ১২ রান হারের ব্যবধানই শুরু কমিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ইশ সোধি ২টি ও ট্রেন্ট বোল্ট নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন কেন উইলিয়ামসন ও মিচেল স্যান্টনার।
অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কোরি অ্যান্ডারসন। দুদলের মধ্যেকার দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজে প্রথমটি শুরু হবে ১২ জানুয়ারি থেকে, ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে।