ছিটমহল থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে যুক্ত হওয়া কৃষিজীবী জনগোষ্ঠি কৃষিখাতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। দীর্ঘকাল বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠি আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি কৃষিকাজ করে আত্মনির্ভরশীল হতে চান।
বাংলাদেশে বিলুপ্ত হওয়া ১১১টি ছিটে ১৭ হাজার ২৫৮ একর জমিতে ধান, পাট, ভুট্টা, গমসহ নানাজাতের ফসলের আবাদ ছিল যুগ যুগ ধরে। কিন্তু ছিলো না আধুনিক প্রযুক্তি।
দীর্ঘদিন আত্মপরিচয়ের বাইরে থাকা এই জনগোষ্ঠি বেঁচে থাকার তাগিদে চাষাবাদ করতেন সনাতন পদ্ধতিতে। এলাকাবাসীরা জানান, তারা কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। তাই তারা কৃষিকাজে সহযোগিতা চান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দ্রুত আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা চান নতুন জাতীয়তাপ্রাপ্ত এসব কৃষক।
তারা বলেন, বিএসের সঙ্গে পরামর্শ করে কিভাবে ফসল ফলানো যায় প্রয়োজনে বিএস কোয়ার্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে কৃষকের মান উন্নয়ন করলে কৃষকের সঙ্গে এলাকার ও উন্নয়ন হবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত আলী সরকার বলেন, এসব এলাকার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, চাষী সমাবেশ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড সরবরাহ এবং মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য জৈব সার, কম্পোস্টসহ বিভিন্ন সার তৈরির ওপর আমরা জোর দিয়েছে।
সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। আর এ কৃষিতে তাদের উন্নয়ন ঘটানো গেলে বদলে যাবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এমনটাই মনে করছে সংশিষ্টরা।