নেটফ্লিক্সে একটি ডকুমেন্টারি দেখে সম্প্রতি অনেকেই চোখের পানিতে ভাসছেন। আর তা হলো জনপ্রিয় পপ তারকা লেডি গাগার জীবন নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি ‘ফাইভ ফিট টু।’
স্টেফানি জোয়ান অ্যাঞ্জেলিনা গারমানোটা থেকে জনপ্রিয় লেডি গাগা হয়ে ওঠা সহ তার জীবনের জানা-অজানা গল্প নিয়ে এই ডকুমেন্টারি। ডকুমেন্টারিটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস মওরবাল। জেনে নিন ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘ফাইভ ফিট টু’তে কী আছে সেই সম্পর্কে।
ডকুমেন্টারিতে মূল যেই বিষয়টি দেখে ভক্তরা আবেগ-তাড়িত হয়েছেন তা হলো লেডি গাগার শারীরিক ব্যথা। তার ফাইব্রোমায়ালজিয়া আছে এটা অনেক ভক্তই জানেন। কিন্তু এই ব্যথার সঙ্গে তাকে সার্বক্ষণিক যেই যুদ্ধ করতে হচ্ছে, তা এই ডকুমেন্টারি দেখলে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারবেন ভক্তরা। ব্যথার যন্ত্রণা সব সময় তার চেহারায় ভেসে থাকে। গাগাকে দেখা যায় ব্যথায় কাতর হয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটতে এবং বড় ইনজেকশনে ব্যথানাশক পুশ করতে। ব্যথা থেকে তার পেট ফুলে যাওয়া, প্যানিক অ্যাটাক এবং ২০১৩ সালের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যথা বেড়ে যাওয়াও দেখানো হয়েছে ডকুমেন্টারিতে।
২০১৫ সালে ম্যাডোনা অভিযোগ তুলেছিলেন যে লেডি গাগা তার গান নকল করছেন। অবশ্য তিনি বেশ ভদ্রভাবেই অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘গাগা খুবই মেধাবী গীতিকার এবং গায়িকা। এটা শুধু একবারের ব্যাপার।’ ডকুমেন্টারিতে গাগা ম্যাডোনার সঙ্গে দ্বৈরথ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন তিনি ম্যাডোনার প্রশংসা করেন। তার মতে বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় কথা না বলে ম্যাডোনার উচিত গাগার সঙ্গে সরাসরি কথা বলা।
একটা সময় অনেক অদ্ভুত সাজপোশাকে দেখা যেত লেডি গাগাকে। হুট করেই এসব সাজপোশাকের প্রতি বেশ উদাসীন হয়ে পরলেন তিনি। তার অ্যালবাম ‘জোয়ানি’তে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় প্রথমবারের মতো। অ্যালবামটি তার ১৯ বছর বয়সী ফুপুর নামে করা যিনি লুপাস রোগের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এই অ্যালবামের প্রচারণায় গাগা কোনো ফেন্সি পোশাক পরেননি এবং নিজের লুকটাকে ন্যাচারাল রেখেছেন। আরও দেখানো হয়েছে যে ভিডিওর মেকআপের সময় মেকআপ আর্টিস্টকে যথেষ্ট পরিমাণ অন্তরঙ্গ হতে হয় শরীরের মেকআপের জন্য।
অন্য সব মানুষের মতই তারকাদেরকেও জীবন এবং কাজের সামঞ্জস্য রাখতে হিমসিম খেতে হয়। এটাও দেখানো হয়েছে ডকুমেন্টারিতে। টেইলর কিনির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়াও তুলে ধরা হয়েছে এখানে। যখনই ক্যারিয়ারে বড় সাফল্য পেতেন তিনি, তখনই তার ভালোবাসার মানুষ হারাতেন। এছাড়াও সর্বক্ষণ হাজারও ভক্ত তাকে ঘিরে রাখলেও নিজেকে একা মনে হয় তার।
একই সঙ্গে একাধিক কাজ করতেও দারুণ পটু গাগা। ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয় তিনি হেয়ার স্টাইলিং এর সময় কি বোর্ড প্র্যাকটিস করছেন। এছাড়াও ডাক্তারের চেম্বারেও মেকআপ করতে দেখানো হয়েছে তাকে। এছাড়াও আরেকটি মজার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। নিজের অ্যালবাম দোকানে কিভাবে সাজানো আছে সেটাও দেখতেন তিনি। ওয়ালমার্টে গিয়ে অনেকসময় নিজের হাতেও গুছিয়ে রাখতেন সিডি। মাঝে মাঝে কয়েকটা কপি কিনেও আনতেন নিজের জন্য। ওয়াশিংটন পোস্ট।