কিশোরীর স্তন গঠনে যেন দেরি হয় তাই একটি গরম পাথর দিয়ে মেয়েদের বুকে ইস্ত্রি করে দেওয়ার রীতি রয়েছে আফ্রিকান উপজাতির মধ্যে। এই প্রথা সম্প্রতি ঢুকে পড়ছে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যেও।
অযাচিত পুরুষের মনোযোগ বা যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণ থেকে অল্প বয়স্ক মেয়েদের ‘সুরক্ষিত’ করার অজুহাতে নৃশংস এই প্রথা ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মানুষও মেনে নিতে শুরু করেছে!
দ্য গার্ডিয়ানের সূত্র বলছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রাক-কৈশোরের মেয়েদের এমন বেদনাদায়ক, অবমাননাকর এবং ভ্রান্ত প্রথার শিকার হতে হয়। লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসা সম্পর্কিত পাঁচটি বিশ্বব্যাপী অপরাধের মধ্যে জাতিসংঘ এই প্রথাকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এবং নির্যাতিতরা একে শিশু নির্যাতনের একটি অংশ হিসেবেই মনে করে যা শারীরিক ও মানসিক আঘাত, সংক্রমণ, পরবর্তীতে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর অক্ষমতা, বিকৃতি এবং স্তন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে বলেও সতর্ক করছেন তারা।
এক সমাজকর্মী জানান যে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের ক্রোডন শহরেও সম্প্রতি ১৫ থেকে ২০টি এমনই ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন। তিনি বলেন, সাধারণত বিদেশের অন্য জায়গায় মহিলাদের যৌনাঙ্গ ছেদন করা হয়। তবে এখানে তেমন শোনা যায় না। এই প্রথায় কিশোরীর মায়েরা গরম পাথর দিয়ে তাদের স্তন ঘষে দেন যাতে স্তনের টিস্যু ভেঙে যায় এবং স্তনের বৃদ্ধি বিলম্বিত হয়। তিনি যোগ করেন, এমনটা তারা কখনও কখনও সপ্তাহে একবার বা দু’সপ্তাহে একবার করে করেন।
নারী এবং মেয়েদের উন্নয়ন সংস্থার প্রধান মার্গারেট ন্যুডজেউইরা জানান যে, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের অন্তত ১০০০ জন নারী ও মেয়েদের উপরে এই প্রথা চাপানো হয়েছে বলে শোনা গেছে। কিন্তু কোনও পদ্ধতিমূলক গবেষণা বা আনুষ্ঠানিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি এখনও।