‘শুনতে কি পাও!’ খ্যাত নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমনের বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘নীল মুকুট’। গেল বছর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে অপেক্ষায় দর্শক। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা থাকলেও দর্শক সিনেমাটি দেখতে পারবেন দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে!
এবার জানা গেলো ‘নীল মুকুট’ মুক্তির তারিখ। শনিবার দুপুরে চরকি ঘোষণা করেছে, আগামি ৮ আগস্ট নির্মাতা কামার আহমাদের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনেই দর্শক ডকু-ড্রামা ‘নীল মুকুট’ দেখতে পারবেন।
নির্মাতা জানিয়েছেন, নীল মুকুট’ ছবির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ মিনিট। যার মধ্যে ৬৫ মিনিটই শুটিং হয়েছে অর্ধেক পৃথিবী দূরের দেশ হাইতিতে। আর সেখানে যেতে ক্রুদের ভিসা জটিলতা তৈরী হওয়ায় রীতিমত যুদ্ধ করেই শুটিং করতে হয় নির্মাতার। অবশ্য সেই যুদ্ধে কামারের সাথে ছিলেন প্রযোজক সারা আফরীন।
সেই অভিজ্ঞতার কথাও এরআগে জানিয়েছেন সারা। হাইতিতে শুটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় দুই-বছরের অনুমতি জটিলতা কাটিয়ে যখন হাইটিতে শুটিংয়ের সব ঠিক হলো, শেষ মূহুর্তে হলো ভিসা জটিলতা। এর আগে কখনো আমাকে ইকুইপমেন্ট নিয়ে সরাসরি প্রোডাকশনে কাজ করতে হয় নাই। কিন্তু হাইতিতে যেহেতু আর কোন উপায় ছিলো না, হয় আমাদেরকেই শুটিং করতে হবে নয়তো শুটিং বাতিল করতে হবে- এইরকম একটা পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিলাম যা করার আমরাই করবো।
এরপর প্রায় মাসখানেক লাইভ সাউন্ড রেকর্ডিং শিখলেন সারা, আর কামারতো সেই ‘শুনতে কি পাও!’ থেকে নিজেই ক্যামেরা চালান- মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহকের একটা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও আছে তার ঝুলিতে। তারপর প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকটা পেলিক্যান স্যুটকেস ভর্তি শুটিং গিয়ার নিয়ে দুইজন রওনা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, তারপর সেইখান থেকে আবার হাইতি।
এর বেশি আপাতত ‘নীল মুকুট’ নিয়ে মুখ খুলতে একদম নারাজ কামার।
তার মতে, আমি আসলে ছবি বানাই একটা ঘোরের মধ্যে, আমি চাই আমার দর্শকেরাও আমার সেই ঘোরের সাথী হোক- আমার মতোই তারাও আবিষ্কার করুক আমার ছবির চরিত্র আর তাদের জীবনের একটা অধ্যায়।
এর আগেই কামার জানিয়েছিলেন, প্লেনে একটা কান্নাকে অনুসরণ করতে গিয়েই একরকম অপরিকল্পিত সন্তান ‘নীল মুকুট’-এর জন্ম হয়েছে। কোন উৎসবে পাঠানোর আগে দেশে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর ২৭ মার্চ ছবিটির মুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এরপর কয়েকবার চেষ্টা করেও ছবিটি মুক্তি দিতে না পারায় শেষে চরকি এগিয়ে এসে ছবিটি তাদের প্লাটফর্মে মুক্তির ঘোষণা দেয়।