প্রত্যেকের জীবনে এমনটা হয় তারা হয়তো কোন গান শুনেছেন, আর সারাদিন সেটা কানে বাজছে। নিজের অজান্তেই সেই গানটি গুনগুন করে গাইছেন। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটে। গানটি হয়তো শোনার সাথে সাথেই আমাদের স্মৃতিতে গেঁথে যায়। গানের সুর এতোটাই আকর্ষণীয় যে কখন ওই গানটি মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে সেটা আমরা কেউ খেয়াল করি না। অনেকের ক্ষেত্রে সারাদিন ওই গানটি মাথায় বাজতেই থাকে। গবেষকেরা এরকম অনুভূতিকে বলছেন কানের পোকা। ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হয় না। বারবার ওই একই সুর ঘুরে-ফিরে আসে। সাধারণত যেসব গানের মেলোডি বা সুরের গঠন খুব সহজ-সরল অথবা সুরের উত্থান-পতনের সাধারণ প্যাটার্ন থাকে, সে গানগুলোই সহজে আমাদের মস্তিষ্কে গেঁথে যায়। এই বিষয়টিকে সংগীতের ভাষায় বলা হয় “মেলোডিক আর্কস”, অর্থাৎ একটা সুরের বৃত্তে বাঁধা পড়া। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে শিশুদের নার্সারি রাইম বা ছড়াগান “টুইঙ্কল, টুইঙ্কল, লিটল স্টার”। এই রাইমটি ছেলে-বুড়ো সবারই মনে আছে। কারণ এর কথা-সুরের ছন্দ খুবই সাবলীল। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিষয়ক মনরোগ বিশেষজ্ঞ লরেন স্টুয়ার্ট এর গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।