আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ চাইলে পরামর্শ দিতে পারে। তবে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া বিএনপি যতোদিন বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে থাকবে, ততোদিন দেশে কোনো শান্তি আসবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির শালিস-নালিশ বা অনুরোধ সাড়া পাবে না। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করার কূটকৌশল নিয়ে আবারও প্রমাণ করেছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। আমরা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করতে পারি না। জনগণের চাপ ছাড়া অন্য কোনো চাপের কাছে শেখ হাসিনার সরকার নতি স্বীকার করবে না।
কাদের বলেন: আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বন্ধুরা বাস্তবতা বোঝেন। বিএনপি যতই অনুরোধ করুক, যত শালিশ-নালিশের কথা বলুক, তাতে তেমন কোন সাড়া তারা পাবে না। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ।
বিএনপি মহাসচিবের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: যিনি আমন্ত্রন জানিয়েছেন তিনি এখন ঘানায়। আজকে ফিরেছেন কিনা এখনও জানি না। আমি যতটা জানি তিনি ঘানায় অবস্থান করেছেন।
‘‘এখন তো আর আলোচনার সুযোগ নাই। তবে মির্জা ফখরুল ইসলামকে বিশেষ বিবেচনায় তিনি যদি ঘানায় ইনভাইট করে নিয়ে যান সেটা ভিন্ন কথা। যিনি ইনভাইট করেছেন, তিনি আলোচনায় বসেননি। তবে আলোচনায় বসেছে জাতিসংঘেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। আলোচনা হতেই পারে এ নিয়ে আমাদের কোনো বিরূপ মন্তব্য নেই। জাতিসংঘ যেকোনো দেশের যে কাউবকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রন জানাতে পারেন, অথবা দূত পাঠিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারেন।
আমাদের বক্তব্য হচ্ছে তারা জাতিসংঘে আলোচনা করতে গেছেন, মহাসচিব ডেকেছেন। এ আলোচনায় বিষয়বন্তু নিয়ে জাতিসংঘের কোনো মন্তব্য নেই, অবজারভেশন নেই, কোন রিকমেন্ডেশন এটা আমরা জানি না। জাতিসংঘ যেকোনো পরামর্শ থাকে দিতে পারেন, তবে আমাদের সংবিধানের বাইরে গিয়ে বিকল্প কিছু করার সুযোগ নেই। সংবিধানসম্মতভাবে আমরা নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’’
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন: অতীতে আমরা দেখেছি আন্দোলন হলে আন্দোলন এড়াতে সবার আগে যিনি বিদেশে পালিয়ে যান তার নাম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। কাজেই দুর্বার আন্দোলন সাগরের উত্তাল গর্জন ১০ বছরে একবারও দেখিনি। এখন তো নদীতে ঢেউ কম। এখন যদি নদীতে একটু ঢেউ দেখতে পাই তাহলে বুঝবো বিএনপি তো আন্দোলনের উত্তাল গর্জন পারছে না দুই একটা ঢেউ আসছে। সেই মানসিকতা তাদের নেই, সেই সাহস নেই, সেই শক্তিও নেই, সেই সাবজেকটিভ প্রিপারেশনও নেই। কোনো কিছুই নেই।
কাদের বলেন: দেশের মানুষ কি অখুশি, সরকারের উপর কি মানুষের কোনো আস্থা নেই- এটা হচ্ছে অবজেকটিভ কন্ডিশন। মানুষ ভাতে পানিতে কষ্ট পাচ্ছে, এই পরিবেশ তো বাংলাদেশে নেই। কী বলে পাবলিককে তাহলে রাস্তায় নামাবেন? তাদের সাবজোক্টিভ প্রিপারেশন, সংগঠনগত যে প্রস্তুতি সে প্রস্তুতিটা কি আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানবেন। তারা তাদের পার্টি অফিসে বসে একে অন্যকে সন্দেহ করে। একে অন্যকে সরকারের দালাল বলে। এদের নিজেদের মধ্যে তো কোনো ঐক্য নেই। এরা নাকি আবার জাতীয় ঐক্য গড়বে! তাদের দলেই তো কোনো ঐক্য নেই।