রাজধানীর কলাবাগান আবাসিক এলাকায় গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ আটজন দগ্ধ হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে চার কক্ষের একটি একতলা টিনশেড বাড়ি। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে আই সি ইউতে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে গ্যাস পাইপলাইনের কাজ শেষ করে তিতাস গ্যাস কর্মীরা চলে যাওয়ার পর থেকেই ত্রুটিপূর্ণ লাইন থেকে রাতভর গ্যাস বের হচ্ছিলো। আতংকের এক রাত কাটান ২৯ নম্বর লেকসার্কাস কলাবাগানের টিনশেড বাড়ির ভাড়াটেরা। ভোরের দিকে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। বাড়ির চাল উড়ে যায়, ভেঙ্গে পড়ে পাশের দেয়াল। আগুনও ধরে যায় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীতে।
দগ্ধ এক নারী জানান, রাতে বাইরে যখন বেরিয়েছি তখন ওখানে গ্যাসের গন্ধ ছিলো। পরে বোমা মারলে যেমন আওয়াজ হয় তেমন আওয়াজ হয়েছে।
দগ্ধ ৮ জনের মধ্যে একজন ধানমন্ডি প্রাইমারী স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। তার হাত পা পুড়ে গেছে।
কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ধরে গেলে ভাঙ্গা দেয়াল পথে বের হয়ে আসায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেনি বলে মনে করছেন আহতরা।
দগ্ধ আরেকজনের দাবী করেছেন গ্যাসের পাইপ খোলা রেখে গেছে বলেই বিষ্ফোরণ হয়েছে।
তিনি বলেন, সারারাত গ্যাসের কারণে ঘুমাতে পারিনি। পরে হঠাৎ বিষ্ফোরণ হয়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে, দেয়াল ভেঙে গেছে।
গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণেই ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তিতাস গ্যাস।তিতাস গ্যাসের ডিজিএম ফয়েজার রহমান বলেন, এসব সত্য নয়। যখনই ঘটেছে তখনই আমরা তথ্য পেয়েছি। পরে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসেছি। লাইনতো ঠিকঠাক ছিলো। এটা একটা অ্যাকসিডেন্ট।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে ভর্তি ৬ জনের মধ্যে শিশুসহ তিনজন আশংকামুক্ত থাকলেও তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক।