বাংলাদেশে (কোভিড-১৯) করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথ (পয়েন্টস অব এন্ট্রি- পিওই) সমূহে জরুরি স্বাস্থ্য নজরদারি ব্যবস্থা জোরদারে সরকারকে সহায়তা করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গসহ ভ্রমণকারীদের চিহ্নিত, পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেফার করার জন্য পিওই কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকারি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এই সংস্থা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, সিলেট ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর, আখাউড়া, বেনাপোল এবং দর্শনা স্থল বন্দর এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন- এই আটটি বন্দরে মূলত সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাহায্য করছে সংস্থাটি।
এই কর্মসূচির আওতায় আইওএম ইতোমধ্যে যেসকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে তার মধ্যে রয়েছে- বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জাম বিতরণ, বন্দরসমূহে ভ্রমণকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর (এসওপি) তৈরিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান ইত্যাদি।
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য মানুষ নয়, বরং ভাইরাসই বড় হুমকি। বন্দরসমূহে অতিক্রমের সময় উপসর্গযুক্ত ভ্রমণকারীদের চিহ্নিতকরণে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশের বহির্গামী ও প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহায্য করছি।