চীনের রহস্যজনক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিংয়ে পাওয়া সম্ভাব্য লক্ষণধারীদের ১৪ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা।
বাংলাদেশের যে সকল নাগরিক চীন ভ্রমণ করছেন তাদের বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের ভালো যোগাযোগ থাকায় ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি সবগুলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের এই বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
চীনের রহস্যজনক করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। পঞ্চম দেশ হিসেবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।
এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৩শ’ জনেরও বেশি মানুষ। সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে জরুরি বৈঠক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্ভবত প্রাণীদেহ থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যান্য দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের উহানের ফ্লাইটের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ।