প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে করোনা ভাইরাস নিয়ে ভুয়া খবর মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভুয়া খবর ছড়ানোর এই ঘটনাকে সংস্থাটি ‘তথ্য মহামারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল সিলিকন ভ্যালি ভ্রমণ করেছেন টেক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ভুয়া তথ্য ছড়ানো বিষয়ে আলোচনা করতে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর এই মহামারী শুরু হয়েছে কেন্দ্রিয় চীন থেকে। তারপর ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজিটাল বিজনেস সলিউশন ম্যানেজার অ্যান্ড্রু প্যাটিসন বলেন, ভুয়া খবর ভাইরাসটির থেকেও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বাদুরের সুপ খাওয়ায় এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বা রসুন খেলে ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এমন ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে রয়েছে পুরো ওয়েব দুনিয়ায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে ফেসবুক হেডকোয়ার্টারের আয়োজনে টেক কোম্পানিগুলোর এক মিটিংয়ে প্যাটিসন একথা বলেন। সেখানে গুগল, অ্যাপল, এয়ারনব, লিফট, উবার ও সেলসফোর্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো উপস্থিত ছিল।
এই সপ্তাহের শুরুতে, তিনি ইকমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের সঙ্গে সিটলে তাদের হেডকোয়ার্টারে কথা বলেন।
যদিও করোনা ভাইরাসের বিস্তারকে জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভাইরাসটির বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন বই ই-কমার্সে বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে।
সংস্থাটি এটাও দেখছে যে অ্যামাজনে লোকজন করোনা ভাইরাসের কারণে কী কী খুঁজছে? তার মধ্যে আছে ফেস মাস্ক এবং ভিটামিন সি বুস্টার। ভুয়া খবর অনুযায়ী ভিটামিন সি করোনা ভাইরাস নিরাময়ে কার্যকর।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো এরই মধ্যে ভুল তথ্য সরানোর জন্য এবং সঠিক তথ্য ছড়ানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও টিকটক যারা করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্যান্য স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর কাছে কিছু খুঁজছেন তাদের পথ নির্দেশনা দিচ্ছে।
গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে যারা খুঁজছেন তাদের নিউজ বা নিরাপত্তা টিপস সরবরাহ করা হচ্ছে। ফেসবুক জানিয়েছে ভুয়া অভিযোগ চিহ্নিত করতে তারা তাদের নিজেদের নেটওয়ার্ক ও ফ্যাক্ট চেকার তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নেবে।
প্যাটিসন বলেন, এটাই কোম্পানিগুলোর জন্য সুযোগ কিভাবে তারা ভুল তথ্য মোকাবেলা করবে সেই বিষয়ে পুনরায় ভাবার।
খুবই ভালো হবে যদি এই জরুরি অবস্থার কারণে দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী মডেল তৈরি হয়। যেখানে এই সব প্ল্যাটফর্মের জন্য দায়িত্বশীল উপাদান পাওয়া যাবে। তবে যে পদ্ধতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে সেটাও বেশ সমালোচিত হচ্ছে।