জানুয়ারি থেকে চীনে মৃত্যুস্রোত শুরু হওয়ার পরে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো দেশটিতে করোনাভাইরাসের কারণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৩৯ জন, মঙ্গলবারে সেটা কমে ৩২ জনে দাঁড়ায়।
দেশটির সরকার সঠিক সংখ্যা জানাচ্ছে না উল্লেখ করে কথা ছড়ানোর পরই এই খবর পাওয়া গেলো। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,৭৪০ জন আর প্রাণ হারিয়েছে ৩,৩৩১ জন।
মঙ্গলবারে দেশটিতে নতুন আক্রান্তদের সকলেই বিদেশ থেকে এসেছেন।
তবে বিদেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে দেশটিতে দ্বিতীয়দফায় আক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চীন। তাই ভিসা বা নাগরিক পারমিট আছে তাদের জন্যও দেশটির সব বর্ডার বন্ধ করা হয়েছে। চীন ও বিদেশের আন্তর্জাতিক সবধরনের ফ্লাইট দেশটিতে বন্ধ করা হয়েছে। সপ্তাহে মাত্র একবার করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই ফ্লাইটও ৭৫ শতাংশের বেশি পরিপূর্ণ থাকবে না।
জানুয়ারিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পরে বুধবার প্রথমবারের মতো শহর থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দেশটিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত স্মার্টফোন হেলথ অ্যাপে যাদের সবুজ কোড থাকবে তারাই কেবল শহরের বাইরে যেতে পারবেন। ঝুঁকিমুক্ত হিসেবে বিবেচিত আবাসিক এলাকায় জনগণকে দুই ঘণ্টার জন্য ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপি সেটা মহামারী আকার ধারণ করে। সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। আর প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ।