বৈশ্বিক মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে নিরব নিস্তব্ধ পর্যটন শহর কক্সবাজার। যে শহর দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক এর পদভারে মুখরিত থাকতো, সেই শহরে এখন সুনসান নীরবতা। সেই সাথে চলছে লকডাউন।
এ কারণে সৈকতসহ আশপাশের এলাকার সাড়ে তিন শতাধিক রেস্টুরেন্ট বা খাবার হোটেল বন্ধ থাকায় কুকুরগুলো বিপাকে পড়েছে। কয়েকদিন থেকে ক্ষুধার্ত এসব কুকুরদের খাবার দিচ্ছেন মানবিক যুবকদের একটি গ্রুপ।
প্রাণীগুলোর এ অবস্থা দেখে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেন মাটির ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। সাথে যুক্তহন সমমনা তার কিছু সহকর্মী।
মাটির ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, কুকুরগুলোর অবস্থা দেখে আমার কাছে খুব খারাপ লাগে। তখন সমমনা কয়েকজন সহকর্মীকে বিষয়টি জানানো হলে, তারা আমার সাথে এসব কুকুরকে খাবার দেওয়ার বিষয়ে একমত হন। এরপর রাতে শহর ও আশপাশের এলাকায় ঘুরে ঘুরে কুকুরগুলোকে খাবার দেয়া হয়।
এই মানবিক টিমে রয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোণ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি আরফাতুল মজিদ, আজিম নিহাদ, ওসমান গনি, এহসান আল কুতুবী, মিজানুর রহমান।
মানবিক টিমের সদস্য আজিম নিহাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমাদের হাতে খাবার দেখে কুকুরগুলো কাছে এসে আমাদের দিকে যখন ফেল ফেল করে তাকাচ্ছিল তখন অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করছিল।
এ টিমের সদস্য ওসমান গনি বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে এই কুকুরগুলোকে খাবার সরবরাহ করছি। চেষ্টা করব সব সময় মানুষের পাশাপাশি এসব প্রাণীদের জন্য কাজ করতে।
মাটির ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গতরাতে কুকুরগুলোকে খাবার দেওয়ার পর তার নিজের ফেসবুকে অনুভূতি ব্যক্ত করে লিখেন, ‘‘আজকে ওরা ছিল একটু নিরব শান্ত,সকলে ছিল আমাদের অপেক্ষায়।
বাইক থেকে নামতেই দল বেঁধে ছুটে আসল। দৃশ্যটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে উপলব্ধি করলাম। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখলাম আজ সেটি হল এবার নতুন নতুন কুকুরকে দেখেছি যা আগের বার খাদ্য দেওয়ার সময় দেখিনি।
মজার বিষয় এখানে অনেক আত্মমর্যাদা রক্ষা করে চলার মতো ছিল অনেক কুকুর। খাবার দিলে না খেয়ে একটু সুগন্ধি নিয়ে চলে যায় আমরা থাকলে। পরে দূর থেকে দেখি আসলে খাচ্ছে কিনা!ঠিকই আমরা একটু দূরে চলে গেলে খাওয়া শুরু করে।’’
এ মানবিক টিমের সদস্যরা কুকুরগুলোর জন্য পাউরুটি সহ নানা খাবার সরবরাহ করছে।