কবর খোড়া শেষ, দাফনের যাবতীয় প্রস্তুতিও শেষ। পরিবারের লোকজনের অপেক্ষা শুধু মরদেহ আসবে, তারপর দাফন করবে। কিন্তু এরমধ্যে ঘটে যায় বিপত্তি।
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেও ভারতের বেঙ্গালরুর ইন্দিরা নগরের ২০ বছরের যুবক মোহাম্মদ ফুরকানের ‘মরদেহ’ বাড়ি আনার পর নড়ে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় পরিবেশ।
শোকে মূহ্যমান বাড়ি হয়ে ওঠে উত্ফুল্ল। মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি দূরে ঠেলে ফুরকানকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে গিয়েও তার শরীরে প্রাণের সঞ্চার অনুভব করা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়। তবে ওই হাসাপাতালে ভেন্টিলেটর না থাকায় তাকে ইন্দিরা নগরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন ফুরকান।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, গত ২১ জুন সুলতানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় ফুরকান। তখন থেকেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।
ফুরকানের ভাইয়ের অভিযোগ, হাসপাতালে ফুরকানকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয় আর বড় অংকের চার্জ নিতে থাকে। আমরা এ পর্যন্ত হাসপাতালে ৭ লাখ টাকা দিয়েছি। এরপর আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালাম আর টাকা নেই। পরে গতকাল সোমবার ফুরকানকে মৃত ঘোষণা করে তারা।
তিনি বলেন, ফুরকানকে বাড়ি আনার পর লক্ষ্য করা যায় শ্বাস চলছে। কয়েকজন তার হাত-পা নড়তেও দেখে। এরপর আবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন লখনওয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. নরেন্দ্র আগরওয়াল।