জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও’র) সেক্রেটারী জেনারেল তালেব রিফাইও’র নেতৃত্বে ৮ টি দেশের পর্যটনমন্ত্রীসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ এখন কক্সবাজারে। বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছেদ্য সমুদ্র সৈকত দেখে মুগ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে সফররত বিভিন্ন দেশের পর্যটন মন্ত্রী আর প্রতিনিধিরা।
আর্ন্তজাতিক বৌদ্ধিষ্ট পর্যটন সম্মেলনে যোগ দিতে আসা এসব অতিথিরা আজ বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্ত উপভোগ শেষে বললেন বাংলাদেশের এ সৌন্দর্য্যের কথা জানান দেয়া হবে বিশ্ববাসীকে।
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার মহাসচিব আর বাংলাদেশসহ আট দেশের পর্যটন মন্ত্রীরা একটি বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার বিমান বন্দরে অবতরন করে। এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সহ উর্ধতন কর্মকর্তারা অতিথিদের ফুল দিয়ে বরন করেন। এরপর সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সূর্যান্ত দর্শনে যান অতিথিরা।
ভূটানের পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী লিয়নপো নরভো ওয়াংচুক বলেন,এত বড় সৈকত দেখে অনেক ভাল লাগলো।একই দেশের রাষ্টদূত পেমা ছুডেন বলেন, এত সুন্দর সৈকত আর বালিয়াড়ী থাকতে পারে না আসলে বুঝতে পারতাম না। সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনকালে ইউ এন ডব্লিউ টি ও এর মহসচিব তালিব রিফাই জানালেন বীচ ম্যানেজম্যান্ট বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষে চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি অনন্য লীলাভুমিকে তুলে ধরা হবে সারা বিশ্বে।
পানির খুব কাছাকাছি ছাতা চেয়ারে বসে পশ্চিমাকাশে সুর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখেন অতিথিরা। এ পরিদর্শনের মাধ্যমে দক্ষিন এশিয়ার পর্যটনে একটি বন্ধন তৈরি হবে বলে জানালেন আগত অনেকে।
অল ইন্ডিয়া রেডিও’র সাবেক সাংবাদিক বর্তমান ভারতের পর্যটন মন্ত্রনালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক (এনই) শেরাভাট সঞ্জয় বলেন, সাংবাদিকরা এটাকে কেন বিশ্বময় তুলে ধরে না। এ সৈকত দক্ষিন এশিয়ার পর্যটনের সম্পদ।
পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আর্ন্তজাতিক বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও পর্যটন সন্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশে বছরে এক লাখ পর্যটক আনার চেষ্টা চলছে। এই কর্মসুচির সাথে কক্সবাজারও সংযুক্ত।
এ সফরের ফলে বাংলাদেশ বাড়তি পর্যটক পাবে বলে আশা পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরীর।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার ( ইউএনডব্লিউটিও) মহাসচিব তালিব রাফাই, সং¯’ার পরিচালক জিং জো, আফগানিস্তানের পর্যটনমন্ত্রী আবদুল বারী জাহিনী, ভুটানের পর্যটনমন্ত্রী লেউনফু নরবো ওয়াংসুক, কম্বোডিয়ার পর্যটন উপ-মন্ত্রী টপ সু পেক, নেপালের বাংলদেশ রাষ্ট্রদুত হেরি কুমার সেরিস্তা, ভিয়েতনামের পর্যটন করপোরেশনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ট্রান ডিন থান, চীনের জাতীয় পর্যটন কার্যালয়ের পরিচালক লি কুয়ানগো, ভারতের পর্যটন মন্ত্রনালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক (এনই) শেরাভাট সঞ্জয়, বাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব খুরশেদ আলম চৌধুরী, চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী প্রমুখ।