শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ৩৬তম ওভারের প্রথম বলকে প্রথম স্লিপ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন মাঠের বাইরে। বল সীমানা দড়ি ছুঁতেই শুরু হয়ে গেল সেই চেনা উল্লাস। প্রথমে ভোঁ দৌড়, পরে হাত ছুঁড়ে শূন্যে লাফ। ২১ মাস পর সেঞ্চুরি ডেভিড ওয়ার্নারের। বল টেম্পারিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে প্রথম। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনারের শতকের দিনে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং মোহাম্মদ আমিরের। পাকিস্তানকে ৩০৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে অজিরা।
টন্টনে প্রথমে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া শুরুতে বড় রানের ইঙ্গিত দিলেও থেমেছে ৩০৭ রানে। কুপার্স অ্যাসোসিয়েশন মাঠে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। নিজের ১৫তম সেঞ্চুরিতে (১০৭) যেমন স্বস্তি ফিরিয়েছেন ওয়ার্নার, তেমনি ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিয়ে সমালোচনা মাটিচাপা দিয়েছেন আমির।
সেঞ্চুরির পথে ওয়ার্নার ধন্যবাদ দিতে পারেন অধিনায়ক ও ওপেনিং সঙ্গী অ্যারন ফিঞ্চকে। মাত্র ২২ ওভারে দুজনের ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি, সময়টাতে পাকিস্তানি পেসারদের যত ঝড়-ঝাপটা বেশিরভাগই সামলেছেন অজি অধিনায়ক। জীবন পেয়েছেন কমপক্ষে চারবার! আমির-ওয়াহাবের গতিময় বাউন্স সয়ে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি অবশ্য পাননি ফিঞ্চ, ৮৪ বলে ৮২ করে আমিরকে চড়াও হয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন হাফিজের হাতে।
ওয়ার্নারকে পেস-তোপ সইতে হয়নি এমনও নয়। এদিন উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার ফলটাই সেঞ্চুরিতে পূর্ণতা দিয়েছেন বাঁহাতি তারকা। ১০২ বলে দেখা পান সেঞ্চুরির। বেশিক্ষণ টেকেননি পরে। আফ্রিদির বলে ইমামকে ক্যাচ দিয়েছেন ১১১ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে, ১১ চারের সঙ্গে এক ছক্কায় সাজানো শতক।
ওয়ার্নার যখন ফিরছেন তার আগে থেকেই রানের গতি কমা শুরু অজিদের। বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউই সেভাবে উইকেট থিতু হতে পারেননি। মূল কারণটা আমিরের বিধ্বংসী বোলিং।
ম্যাচে যেভাবে দুহাতে রান বিলিয়েছেন সতীর্থরা, তার উল্টো পথে হাঁটেন আমির। ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ৩০ রান, তাতে ঝুলিতে ৫ উইকেট। বাকিদের মধ্যে ওয়াহাব রিয়াজের রান গড় কেবল ছয়ের নিচে (৫.৫০)। ২টি মেডেন ওভারও করেছেন আমির।