ইতিহাস থেকে জানা যায়; নবাব শায়েস্তার খাঁর আমলে ১ টাকায় ৮ মণ চাল পাওয়া যেতো। তবে বর্তমান সময়ে এসে তারচেয়েও সস্তায় দামে বিক্রি হয়েছে কয়েকশ কেজি রড আর কাঠ। বাংলাদেশ-জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৩শ’ ৭০ কেজি রড আর ৩০ মন কাঠ মাত্র দুই হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনাটি সম্পর্কে একেবারেই তারা কিছু জানেন না।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অনেক দিনের সুনাম রয়েছে বাংলাদেশ-জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের। গত ৬ জুলাই জাপানের একটি পরিদর্শন দলের আগমন উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় এর মিরপুর কেন্দ্রটি। আর এ সুযোগে ৩৭০ কেজি রড আর ৩০ মণ কাঠ বিক্রি করে দেওয়া হয় মাত্র দু হাজার দু’শ টাকায়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়ই রয়েছে সিসি ক্যামেরা। কিন্তু কেন্দ্রের উপাধাক্ষ কাজী বরকুতউল ইসলাম এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কর্তৃপক্ষের অজান্তে মালামাল কিভাবে বাইরে চলে গেলো তা এক বিস্ময়!
বরকুতুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা তেমন কোন তথ্য দিতে পারব না। এ বিষয়টি আমি আসলে আপনার কাছেই শুলাম।
বাংলাদেশ-জার্মান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কেয়ারটেকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ের বিবরণটা আমি পারমিশন ছাড়া দিতে পারব না।
এরই মধ্যে উপাধ্যক্ষকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন। অফিস আদেশে ওইসব মালামাল বাইরে বিক্রির কথাও স্বীকার করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ বলেন, এ ব্যাপারে আমি আমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি এটার জন্য একটা কমিটিও করে দিয়েছি। এটা হইতে পারে আবার নাও হইতে পারে। তবে আমি খোঁজ পেয়েছি কিছু স্কাব বাহিরে চলে গেছে।
কিন্ত সমাজের ঝরে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা সত্যিই অনাকাঙিক্ষত।