রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার আসামিদের এজলাসে নেয়া হয়েছে। এরপর বেলা ১২টা ৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।
এর আগে বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় আসামিদের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, কাশিমপুর কারাগার থেকে র্যাব-পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে হলি আর্টিজান মামলার আট আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
হলি আর্টিজানে হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে মহানগর দায়রা আদালত এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এই নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়।
আলোচিত এই মামলায় এখন পর্যন্ত ঘটনা সম্পর্কে জানেন কিংবা ঘটনা দেখেছেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জানেন, এরকম ১১৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৭ জন সাক্ষী ঘটনার দিন হলি আর্টিজানের ভেতর অবস্থান করছিলেন। তাদেরকে কমান্ডো বাহিনী, পুলিশ ও র্যাব জীবিত উদ্ধার করে। রায় ঘোষণার দিন ধার্য করার আগে এ মামলার ৭৫টি আলামত আদালত পর্যবেক্ষণ করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অস্ত্রের মুখে বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে তারা ২০ জনকে হত্যা করে। তাদের ছোড়া গ্রেনেড ও গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
পরে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। প্রধান আসামিদের মধ্যে পুলিশের অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।
ওই বছরের ২৬ নভেম্বর বিচার শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ২১১ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দেয় ১১৩ জন।
হলি আর্টিজান হামলা মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জঙ্গিরা হলো- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী, রাশেদ ওরফে র্যাশ, রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান, মিজান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশীদ।