বিদেশ যেতে ইচ্ছুক কিংবা অন্য কোন কারণে ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ প্রয়োজন হয়। এ সুযোগে ভুয়া ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ দিয়ে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছিল একটি চক্র। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর মতিঝিল থানার ফকিরাপুলে অভিযান চালিয়ে ৫৮ জেলার এসপি এবং ৫৯ থানার ওসির ৫৭৭টি নকল সিলসহ ১,৪৫০টি ভুয়া ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি’র সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। একইসঙ্গে প্রতারক চক্রের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। তিনি বলেছেন, বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের নেয়া এই ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করার জন্য দেশে থার্ড কোন কর্তৃপক্ষ নেই। এসব নকল সার্টিফিকেটে বিদেশে গেলে ধরা পড়ে যায়। সারাবিশ্ব যখন জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন বিদেশে এ ধরণের ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ধরা পড়ার বিষয়টি শুধু কোন ব্যক্তি নয়, দেশের জন্যও নেতিবাচক বলে আমরা মনে করি। আর জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের অংশ হিসেবেই এ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনেও এই বিষয়টি যাচাই করা খুব বেশি কষ্টকর এবং ব্যয়সাধ্য নয়। বিশ্বের প্রায় সকল দেশের ভিসা বা যাবতীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট এখন অনলাইনে যাচাই-বাছাই করা যায়। এমনকি এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য এখন অনলাইনে আবেদন করা যায় বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তাহলে অনলাইনে কিংবা অন্য কোন পদ্ধতিতে দেশে এটা যাচাই করা যাবে না কেন? বহির্বিশ্বে দেশের সুনামের স্বার্থে এসব প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এই সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহবান করছি।