পদ্মার পানি শোধনাগার নির্মাণ, ১৬ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণসহ আটটি প্রকল্পে ৬ হাজার ৪শ ৯৩ কোটি ৮ লক্ষ টাকা অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরো প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিলস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য গুলশানে ভূগর্ভস্থ গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৯৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। গুলশানে ভূগর্ভস্থ উপকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হবে। এতে ডেসকো এলাকায় জনদুর্ভোগ কমবে এবং নতুন গ্রাহক সংযোগ সুবিধা তৈরি হবে আশা সংশ্লিষ্টদের।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- ‘১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা।
পদ্মা (যশোলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ২৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। মোল্লাহাট ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল প্রকল্প, খরচ ধরা হয়েছে ৫১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে সাইক্লোট্রন ও পেস-সিটি এবং ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিকেল ফিজিক্স (আইএনএমপি) এবং সাভারে সাইক্লোট্রন সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ৬৭৩ কোটি টাকা। সোনাইমুড়ী-সেনবাগ-কল্যান্দী-চন্দেরহাট-বসুরহাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ২৪১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এসব ব্যয়ের মধ্যে জিওবি ৩ হাজার ২শ ৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।