ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে প্যানেলের বাইরে থেকে অন্য একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিনেট সদস্যরা। এ আদেশ লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের ওপর আঘাত এবং সিনেটকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রের পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ জন সিনেট সদস্যের সই করা এক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন সিনেটররা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যরা গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি দেখে বিস্মিত হয়েছি। উপাচার্য নিয়োগের উদ্দেশ্যে গত ২৯ জুলাই সিনেট কর্তৃক তিন সদস্যের প্যানেল বিষয়ে একটি রিট আবেদন আদালতে বিচারাধীন এবং এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্বপদে বহাল থাকবেন বলে উচ্চ আদালতের একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে।
এমতাবস্থায় অন্য একজনকে ( তিন সদস্যের প্যানেলের বাইরে) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া সরকার, উচ্চ আদালত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিব্রতকর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের ওপর আঘাত এবং সিনেটকে অকার্যকর করার নানামুখী ষড়যন্ত্রের পথ সুগম হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতির এ ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠ উপহার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ- ১৯৭৩’ দ্বারা পরিচালিত হবে। এর মর্যাদা সমুন্নত রাখা প্রত্যেকেরই নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব।
গত সোমবার এক নির্বাহী আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে উপাচার্য হিসেবে সাময়িক নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হয় গত ২৩ আগস্ট।