রাত পোহালেই বুধবার পবিত্র ঈদ উল আজহা। ত্যাগের মহিমায় চির ভাস্বর এই উৎসব পালনে প্রস্তুত রাজধানীসহ সারাদেশ। ঈদ উদযাপনে সাজানো হয়েছে নগরীর বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়ক। বাসাবাড়িতে চলছে কোরবানির পশুর শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা।
ঈদ মানে ধনী-দরিদ্র মিলে মিশে এক সাম্যের আনন্দ, পেছনের দুঃখ দুর্দশাকে ভুলে গিয়ে আনন্দের উৎসবে মিলিত হওয়া।
ঈদ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ত্যাগের শিক্ষা প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব উদযাপনে প্রস্তুত রাজধানী। পথে পথে বসানো হয়েছে আরবি লেখা সম্বলিত রঙবেরঙের পতাকা। বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক মসজিদগুলো।
বাসাবাড়িগুলোতে চলছে কোরবানির পশুর শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা। এই আনন্দে শামিল হয়েছে শিশুরাও।
ঈদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বদলে গেছে রাজধানীর চিরচেনা রুপ। নেই যানজট নেই কোলাহল। ফাঁকা রাস্তায় স্বস্তির যাতায়াত করছেন নগরবাসী। ফাঁকা রাজধানীতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে ছুটে গেছেন কোটি মানুষ। পশু কোরবানির প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে গেছে ঈদের খুশি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু কোরবানির মাধ্যমে যে ত্যাগের শিক্ষা, তা ছড়িয়ে গেছে দেশজুড়ে।