আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেতে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনেক প্রার্থী রিট নিয়ে ছুটছেন হাইকোর্টে।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক ও বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিটের প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামী রোববার থেকে এসব রিট হাইকোর্টে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে প্রার্থীদের আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে জমা পড়েছিল ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বাদ পড়ার পর নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৮০ জন প্রার্থী। অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বৈধ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে আপিলে প্রার্থিতা হারান ৫ জন। ইসিতে করা সব আপিল নিষ্পত্তি শেষে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬০ জন। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। সে অনুযায়ী প্রার্থিতা ফিরে পেতে অনেকেই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধি সংক্রান্ত বিষয়াদি শুনানির জন্য দুটি হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে একটি এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে আরেকটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, বাছাই চলে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর। আর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।