শুধু একটা ড্র হলেই চলতো। হয়ে যেত ইতিহাস। ইতিহাস অবশ্য আবাহনী আগেই গড়েছে, বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে নাম লিখিয়ে। সেটাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেয়ার সুযোগ ছিল আকাশী-নীলদের সামনে। তা আর হল না। নর্থ কোরিয়ার শক্তিশালী ক্লাব এপ্রিল-২৫’র কাছে ২-০ গোলে হেরে হল সর্বনাশ!
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে এপ্রিলকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কাজটা ঠিকঠাক সেরে রেখেছিল আবাহনী। দ্বিতীয় লেগ এপ্রিলের মাঠে হওয়াতেই ছিল যত শঙ্কা। যেটা খেলতে হয়েছে নর্থ কোরিয়ায়। পুরো দুনিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এক দেশ থেকে ফলটা জানা গেল ঠিকই, তবে সেটা খুশির নয়। নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে জয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামীতায় আবাহনীর স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে এপ্রিল।
ঘরের মাঠে জিতলেও আবাহনীর সমস্যা ছিল রক্ষণে। সেটা শুধরে নিয়েই নর্থ কোরিয়ায় উড়াল দিয়েছিলেন মারিও লেমোসরা। প্রথম ৪৫ মিনিট যার ফল মিলেছে। স্বাগতিকদের পুরোঅর্ধ ঠেকিয়ে রেখেছিল আবাহনী।
বিরতি থেকে ফেরার পরেই যেন সব প্রতিরোধ ভেঙে পড়ল। বদলি হিসেবে নেমে কিম ইয়ু সং পাল্টে দেন ম্যাচের গতিপথ। ৪৯ মিনিটে আবাহনীর সব প্রতিরোধ ভেঙে করেন গোল।
পরে বিপদ বাঁধালেন রুবেল মিয়াঁ। ৭০তম মিনিটে তার লাল কার্ড দশ জনের দল বানিয়ে দেয় আবাহনীকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৮৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে আবাহনীকে ইতিহাস গড়তে দেননি কিম।